Advertisement
Advertisement

Breaking News

CM Mamata Banerjee

ব্যাপম, নিট কেলেঙ্কারিতে তো চাকরি যায়নি, বাংলা নিয়ে শুধু চক্রান্ত! বিজেপিকে নিশানা মমতার

'বাংলায় কিছু হলেই চক্রান্ত? এই রায়ের পিছনে অন্য কোনও খেলা নেই তো?', প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর।

CM Mamata Banerjee lashes out at BJP mentioning NEET, Vyapam scam

ফাইল ছবি

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:April 7, 2025 3:06 pm
  • Updated:April 7, 2025 4:19 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিক্ষা দুর্নীতিতে চাকরি হারানোর ঘটনা দেশে নতুন নয়। এর আগে ত্রিপুরা, উত্তরপ্রদেশেও এমনটা ঘটেছে। দুর্নীতির অভিযোগে দোষী প্রমাণিত হয়ে চাকরি খুইয়েছেন বহু শিক্ষক, শিক্ষিকা। তবে বাংলায় সংখ্যাটা বেশি। শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী নিয়ে প্রায় ২৬ হাজার। এই ইস্যুতে এবার বিজেপিকেও একহাত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। সোমবার, নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে চাকরিহারা শিক্ষকদের সমাবেশ থেকে তাঁর আক্রমণ, ”মধ্যপ্রদেশের ব্যাপম কেলেঙ্কারির কথা ভুলে গেলেন? নিটেও কেলেঙ্কারি হয়েছে। কিন্তু সেসবে তো কারও চাকরি যায়নি। শুধু বাংলায় কিছু হলেই চক্রান্ত? বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলার চক্রান্ত হচ্ছে। এই রায়ের পিছনে অন্য কোনও খেলা নেই তো?”

Advertisement

সর্বভারতীয় ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে বছর খানেক আগে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল গোটা দেশ। পরীক্ষায় মোট নম্বরের চেয়ে স্কোরকার্ডে অতিরিক্ত নম্বর দিয়ে মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়। তাতেই দুর্নীতির সূত্র বেরিয়ে আসে। এনিয়ে হইহই কাণ্ড শুরু হয়। প্রকৃত মেধাবীরা সুযোগ পাননি বলে অভিযোগ ওঠে। পরবর্তী সময়ে এসব সামলাতে NTA অর্থাৎ ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির শীর্ষ কর্তাকে বদল করে দেওয়া হয়। নতুন করে পরীক্ষা নিয়ে মেধাতালিকা প্রকাশ করে NTA. তারও আগে বছর ১২ আগে মধ্যপ্রদেশে প্রবেশিকা পরীক্ষা ব্যাপমেও এমনই কেলেঙ্কারি সামনে আসে। যাতে জড়িয়ে পড়েন বহু রাজনীতিক। সেসময় এই নিয়েও বিরাট শোরগোল পড়ে গিয়েছিল।

ওইসব কেলেঙ্কারির কথা তুলে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) বিজেপিকে নিশানা করেন। তাঁর কথায়, ”মধ্যপ্রদেশে ব্যাপম, পরে নিটেও তো দুর্নীতি হয়েছিল। তাতে তো কারও চাকরি যায়নি। বাংলার জন্যই শুধু চক্রান্ত? শিক্ষা ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলার চক্রান্ত! আমি বেঁচে থাকতে যোগ্যদের চাকরি কেড়ে নিতে দেব না। সুপ্রিম কোর্টকে বলতে চাই, চাকরি দিতে না পারলে কেড়ে নেবেন না। শিক্ষা ব্যবস্থাকে বাঁচাতে শিক্ষকদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক।”

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement