সন্দীপ চক্রবর্তী: ভরা বর্ষার মরশুমে ঘাটাল-সহ মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত। প্রতি বছরের মতো এবারও জনযন্ত্রণায় আমজনতা। প্রশ্ন উঠছে, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নের কাজ তো শুরু হয়েছে। কিন্তু কতটা এগোল সেই কাজ? কতদিনই বা আর এই জলযন্ত্রণা সইতে হবে? এনিয়ে ঘাটালে তৃণমূল-বিজেপি চাপানউতোরও শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে বিধানসভায় বিবৃতি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কত সময় লাগবে কাজ শেষ হতে? জমি জট হলেই বা সমাধান কী? তার সবটাই জানালেন তিনি।
কেন্দ্রকে দুষে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ”ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান করার কথা অনেক আগে। তা তো করেইনি। আমরাই কাজ শুরু করেছি। ১৫০০ কোটি টাকা খরচ হবে। দু থেকে তিন বছর সময় লাগবে। মানসদা তো কেলেঘাই-কপালেশ্বরী প্রকল্পের জন্য ২০ বার চিৎকার করেছেন। তাও ওরা করে দেয়নি। আমরাই সেই কাজ করেছি। এখনও ঘাটালও করছি। এতে মেদিনীপুরের মানুষের ভালো হবে। বর্ষার সময় আর জলে ভাসতে হবে না। কাজ এগোচ্ছে।” ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জমি সমস্যার অভিযোগ উঠেছে মাঝেমধ্যে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, ”জমি নিয়ে সমস্যা তৈরি হলে প্ল্যানটা একটু ঘুরিয়ে দিন, তাহলেই তো মিটে যায়।”
এদিন বিভিন্ন কেন্দ্রের বিভিন্ন জলপ্রকল্প নিয়েও উষ্মাপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সিকিমে ১৪ টি জলপ্রকল্প করে তিস্তার গতিরোধ নিয়ে তিনি বলেন, ”তিস্তার শ্বাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বর্ষার মরশুমে সিকিম থেকে জল ঢুকছে বাংলায়। নেপাল থেকেও জল ঢুকছে।” ভুটানের সঙ্গে যে আন্তর্জাতিক জল কমিশন রয়েছে, সেই ভারত-ভুটান আন্তর্জাতিক জল কমিশনে বাংলার প্রতিনিধি না থাকা নিয়েও ক্ষুব্ধ মমতা। তাঁর মতে, বাংলার প্রতিনিধি থাকা উচিত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.