সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেবীপক্ষের সূচনা মানেই উৎসবের ভরপুর আমেজে গা ভাসাতে প্রস্তুত আমবাঙালি। নতুন জামাকাপড়ের সঙ্গে দুর্গাপুজোর অন্যতম অনুষঙ্গ তো পূজাবার্ষিকীও। পুজোর সকালগুলোয় শারদ পত্রিকা হাতে না থাকলে আজও কেমন ফাঁকা ফাঁকা লাগে! ইদানিং বহু পত্রিকায় বেশ অনেকদিন আগে প্রকাশিত হয়ে যায়। পুজো আসতে আসতে তা পড়াও শেষ হয়ে যায় অনেকের। কিন্তু রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস এই ট্রেন্ডে হারিয়ে যেতে মোটেই রাজি নয়। প্রতি বছর নিয়ম মেনে ঠিক মহালয়ার দিনই প্রকাশিত হয় ‘জাগো বাংলা’ উৎসব সংখ্যা। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না।
তবে এবছর বাড়তি পাওনা এই পত্রিকার উদ্বোধন মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গান। নজরুল মঞ্চের অনুষ্ঠান মঞ্চে মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের সঙ্গে তিনিও গাইলেন আগমনি গান – ‘জাগো দুর্গা।’ মুগ্ধ ইন্দ্রনীল বললেন, ”রাজনীতি না করলেও শিল্পী হিসেবে উনি অনেক দূর যেতেন। তাতেও এগিয়ে থাকত বাংলা।” এই মঞ্চে দাঁড়িয়ে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করিয়ে দিলেন বাংলার দুর্গাপুজোর ইউনেস্কো স্বীকৃতির কথা। বললেন, ”যারা এতদিন বলত, বাংলায় দুর্গাপুজো হয় না, ইউনেস্কো তাদেরই জবাব দিয়ে দিয়েছে বাংলার দুর্গাপুজোকে ইনট্যানজিবেল কালচারাল হেরিটেজ তকমা দিয়ে। এটা যেন আমরা না ভুলি।”
শনিবার কলকাতার তিনটি পুজোমণ্ডপের দ্বারোদঘাটন হয়ে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে। রবিবার, মহালয়ায় আরও কিছু পুজোর উদ্বোধন করবেন তিনি। তার মাঝে বিকেলে নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’র শারদ সংখ্যার সূচনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বিশেষত পত্রিকার সম্পাদকমণ্ডলীকে। এরপরই মঞ্চে তাঁকে গান গাওয়ার অনুরোধ করেন মন্ত্রী-গায়ক ইন্দ্রনীল সেন। মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানান, ”আমি শিল্পী নই। তাছাড়া আমার গলা বসে গিয়েছে। তুমি গাও।” পালটা ইন্দ্রনীল বলেন, ”আমি শিল্পী হয়ে বলছি, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী রাজনীতি না করলেও শিল্পী হিসেবে – সে ছবি আঁকা হোক বা লেখা কিংবা গান গাওয়া, সবদিক থেকেই তিনি অনেক দূর যেতেন। এবং তখনও এগিয়ে বাংলা হতো।” এরপর অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী ‘জাগো দুর্গা’ গানে ইন্দ্রনীলের সঙ্গে গলা মেলান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.