সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলকাতা এখনও জলমগ্ন। খোলা বিদ্যুতের তার পড়ে এদিকে-ওদিক। তাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শহরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮। এই পরিস্থিতির জন্য সিইএসসি-কে দুষেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তিনি সরাসরি সিইএসসি কর্তা সঞ্জীব গোয়েঙ্কাকে ফোন করলেন তিনি। শহরে খোলা বিদ্যুতের তারগুলির যত্নের কথা বললেন। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃতদের পরিবার পিছু অন্তত ৫ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্যের কথাও বললেন। মঙ্গলবার বিকেলে নবান্ন থেকে জেলার পুজোগুলির ভারচুয়াল উদ্বোধনের আগে মুখ্যমন্ত্রী ফের দুষলেন ডিভিসিকে।
দুর্যোগ পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুজোগুলির উদ্বোধন বাতিল করেছেন। শুধুমাত্র নবান্ন থেকে জেলার ভারচুয়াল পুজোগুলির উদ্বোধন করেছেন। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”একটা বড় বান এসেছে। আজ পর্যন্ত তার প্রভাব রয়েছে। আস্তে আস্তে নামবে। গঙ্গা খালি হবে। কিন্তু অন্য জায়গায় বৃষ্টি হলে আমরা কী করতে পারি? কলকাতায় জল জমা কমেছে। এবার আমাদের সামলাতে হচ্ছে বিহার, উত্তরপ্রদেশের জলও। পাঞ্চেত, ফরাক্কা, ময়ূরাক্ষী, ডিভিসি কিছু আমাদের অধীনে নয়। কেন্দ্র ড্রেজিংয়ের টাকাও দেয় না। যারা সোশাল মিডিয়ায় এসব লিখছেন, তাঁদের বলছি, দুর্যোগ নিয়ে রাজনীতি করবেন না। উত্তরাখণ্ডের কথা (মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যয়) আমিও বলতে পারতাম।”
মমতার আরও বক্তব্য, ”প্রকৃতি আমাদের হাতে নেই। কেন আপনারা ড্রেজিং করান না, জবাব দিন। কলকাতার জল কোথায় ফেলব? বাংলার জল বাংলার সামলানোর ক্ষমতা আছে।” সল্টলেক, নিউটাউন এলাকায় জল জমার জন্য মেট্রোর কাজকে দায়ী করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, ”তাদের সব জিনিসপত্র পড়ে নালা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এগুলো সরিয়ে রাখুন।” পাশাপাশি দুর্যোগ পরিস্থিতিতে শহরবাসীকে বাড়ি থেকে না বেরনোর পরামর্শ জানিয়েছেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.