Advertisement
Advertisement
Mamata On Khidirpur Fire

সরকারি খরচায় বাজার, ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্য, খিদিরপুর অগ্নিকাণ্ডে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

পুড়ে ছাই খিদিরপুরের অরফ্যানগঞ্জ মার্কেটের কমপক্ষে ১৩০০টি দোকান।

CM Mamata Banerjee visits fire-hit Khidirpur

সোমবার খিদিরপুরের দুর্ঘটনাস্থলে মুখ্যমন্ত্রী। নিজস্ব ছবি।

Published by: Sayani Sen
  • Posted:June 16, 2025 3:06 pm
  • Updated:June 16, 2025 4:01 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খিদিরপুর অরফ্যানগঞ্জ মার্কেট অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রাজ্য সরকার। সোমবার রাজ্য বিধানসভা থেকে সোজা খিদিরপুরে (Khidirpur) যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সরকারি খরচে বাজার এবং আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “নতুন করে বাজার তৈরি করে দেবে সরকার। কোনও খরচ দিতে হবে না ব্যবসায়ীদের। কর্পোরেশন যে মার্কেটটি তৈরি করবে সেটা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে হবে। থাকবে যথোপযুক্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। যতক্ষণ না নতুন মার্কেট তৈরি হবে ততদিন ব্যবসায়ীদের জন্য অস্থায়ী জায়গার বন্দোবস্ত করা হবে। পুরো দোকান পুড়ে গেলে ১ লক্ষ টাকা এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্তদের ৫০ হাজার টাকা দেবে রাজ্য। কার কার দোকান জ্বলে গিয়েছে, কতটা ক্ষতি হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হবে। সেই অনুযায়ী একটি রিপোর্টও তৈরি করা হবে।” আপাতত ওই অগ্নিদগ্ধ এলাকায় ব্যারিকেড করে দেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

mamata

উল্লেখ্য, রবিবার রাত ১টা নাগাদ খিদিরপুরের অরফ্যানগঞ্জ মার্কেটে আগুন লেগে যায়। সেখানে রয়েছে তেল এবং মাখনের গুদাম। তার ফলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। একের পর এক দোকান এবং গুদামে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর দেওয়া হয় দমকলে। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, তাতেও টনক নড়েনি দমকলের। স্থানীয় ওয়াটগঞ্জ থানায় কেউ ফোন ধরেনি বলেও অভিযোগ। ব্যবসায়ীদের দাবি, এরপর ১০০ নম্বরে ডায়াল করেন তাঁরা। তার প্রায় ঘণ্টাদেড়েক পর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ২০টি ইঞ্জিন। ব্যবসায়ীদের আরও অভিযোগ, দমকলের কাছে প্রয়োজনীয় জল ছিল না। গঙ্গা থেকে জলের ব্যবস্থা করে বেশ কিছুক্ষণ পর আগুন নেভানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। সোমবারও একাধিক জায়গায় পকেট ফায়ার রয়ে যায়।

বহু প্রাচীন এই মার্কেটে দামী মশলা থেকে ফল, নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সমস্ত জিনিসপত্রের দোকান রয়েছে। রবিবার রাতের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ১৩০০ দোকান পুড়ে ছাই বলেই খবর। স্বাভাবিকভাবেই মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের। দমকল সময়মতো কাজ শুরু করলে, এত বড় ক্ষতি হয়তো হত না বলেই দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের। এদিকে, এদিন সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। দমকলের গাফিলতির অভিযোগ কার্যত নস্যাৎ করে দেন। তাঁর দাবি, খবর পাওয়ামাত্রই দমকল কাজ শুরু করে। অরফ্যানগঞ্জ মার্কেট লাগোয়া এলাকা অত্যন্ত ঘিঞ্জি। তাই আগুনের উৎসস্থলের কাছাকাছি পৌঁছতে বেশ খানিকটা বেগ পেতে হয় দমকল কর্মীদের। ওই মার্কেটে কীভাবে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা যথাযথ ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement