Advertisement
Advertisement
Kolkata

প্রাক্তন সেনাকর্মীদের ধরনায় শুভেন্দু-অর্জুন, ‘পলিটিক্যালি স্পনসর্ড’, তোপ কুণালের

প্রাক্তন সেনাকর্মীদের ধরনা ‘বকলমে বিজেপির রাজনৈতিক কর্মসূচি’ হতে চলেছে বলে আগেই তোপ দেগেছিল তৃণমূল কংগ্রেস।

Controversy started over Indian Army veterans protest at Kolkata
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:September 12, 2025 9:07 am
  • Updated:September 13, 2025 12:59 pm   

স্টাফ রিপোর্টার: তৃণমূলের ‘ভাষা আন্দোলনে’র মঞ্চ ভাঙার ইস্যুতে বৃহস্পতিবার অবস্থান বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিলেন প্রাক্তন সেনাকর্মীদের একাংশ। এই ধরনার পিছনে বিজেপির মদত থাকার অভিযোগ তুলে এটা ‘বকলমে বিজেপির রাজনৈতিক কর্মসূচি’ হতে চলেছে বলে আগেই তোপ দেগেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বাস্তবে তৃণমূলের সেই ধারণাই ‘সত্যি’ হয়ে গেল এদিন। ধরনা মঞ্চে দল বেঁধে হাজির হলেন শুভেন্দু অধিকারী, অর্জুন সিং, তাপস রায়, তমোঘ্ন ঘোষ, শঙ্কুদেব পণ্ডার মতো রাজ‌্য বিজেপির শীর্ষ নেতারা। গলায় গেরুয়া জড়িয়ে ইতিউতি ভিড়ে দেখা গেল বিজেপি কর্মীদেরও। স্বাভাবিক ভাবেই এ নিয়ে পালটা আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও। তৃণমূলের অন্যতম রাজ‌্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘আমরা আগেই বলেছিলাম, ওই কর্মসূচি রাজনৈতিক উদ্দেশ‌্যপ্রণোদিত। পলিটিক‌্যালি স্পনসর্ড। ওঁরা মঞ্চে গিয়ে সেটাকেই ‘সত্যি’ বলে প্রমাণ করে দিলেন।’’

Advertisement

তৃণমূলের ‘ভাষা আন্দোলনে’র মঞ্চ ভাঙাকে কেন্দ্র করে দিন কয়েক আগে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল মেয়ো রোড। ছুটে গিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাক্তন সেনা কর্মীদের অভিযোগ ছিল মুখ্যমন্ত্রী সেনাদের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেছে। তার প্রতিবাদে ধরনার অনুমতি চেয়ে আদালতে যান প্রাক্তন সেনাকর্মীদের একাংশ। আদালত অনুমতি দেওয়ার সময় বলে দিয়েছিল, নির্দিষ্ট সংখ‌্যক লোক নিয়ে কর্মসূচি করতে হবে এবং কোনও রাজনৈতিক দলের পদাধিকারীরা সেখানে থাকতে পারবেন না। তারপরও ধরনামঞ্চে শুভেন্দু-অর্জুন সিংরা উপস্থিত হলে আপত্তি জানায় পুলিশ। এ নিয়ে পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে তুমুল বচসায় জড়ান বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা। শঙ্কুদেবের দাবি, উদ্যোক্তাদের আইনজীবী হিসাবে তিনি এখানে উপস্থিত হয়েছেন। একইভাবে তাঁর দাবি, বিজেপি নেতা নয়, বিরোধী দলনেতা হিসেবে এসেছেন শুভেন্দু।

এপ্রসঙ্গে কুণালের কটাক্ষ, ‘‘সেনার প্রতি আমাদের পূর্ণ সম্মান আছে। কিন্তু যে পদ্ধতিতে অবসরপ্রাপ্ত সেনাদের একাংশ বলে একেবারেই নির্দিষ্ট রাজনৈতিক লক্ষ‌্য নিয়ে কোনও কর্মসূচি করা হচ্ছে বা প্রচারে যাওয়া হচ্ছে এবং সেখানে যারা উৎসাহ দিচ্ছেন, সেই রাজনৈতিক দলের নেতারা যাবেন, এটা তো খুব প্রত‌্যাশিত। এটা তো রাজনৈতিক-ই।’’ তাঁর কথায়, ‘‘কে টেকনিক‌্যালি কোন পোস্টে আছেন, সেটা অন‌্য কথা। আমরা বলছিলাম, রাজনৈতিক উদ্দেশ‌্যপ্রণোদিত। আজ তো প্রমাণ হয়ে গেল যে ওটা একটা রাজনৈতিক দলের গণসংগঠনের মতো মঞ্চ বেঁধে বসে আছে।’’

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ