Advertisement
Advertisement
করোনা

করোনার থাবা দোলের বাজারেও, তলানিতে ঠেকেছে চিনা সামগ্রী বিক্রি

মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের।

Coronavirus affected the sales before holi in kolkata
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:March 7, 2020 2:07 pm
  • Updated:March 7, 2020 2:07 pm  

স্টাফ রিপোর্টার: এক সময় চিনের বাণিজ্যনীতি স্পষ্ট করেছিল, আমরা দেব, তোমরা বাধ্য হবে কিনতে। এই নীতিকে সত্য প্রমাণ করতে সব চেয়ে কম দরে পণ্য রপ্তানি শুরু করে চিন। সত্তর দশকে শিক্ষিত মানুষের পকেটে যে পেন থাকতো তাতেই শুধু দেখা যেত ‘মেড ইন চায়না’। নয়া পরিকল্পিত নীতির হাত ধরে এখন ঘরে ঘরে ঢুকে পড়েছে চিনের বিভিন্ন সামগ্রী। ছোটদের প্রিয় খেলনা তো রয়েছেই। রয়েছে নানা গ্যাজেটও। গণেশ পুজোর সময় দেবতার মূর্তিও আসে চিন থেকে। বসন্ত উৎসবেও চিনা সামগ্রীর রমরমা দেশজুড়ে। বাদ যায় না কলকাতাও। তবে করোনা আতঙ্কে এবার দোলে চিনা পণ্য থেকে মুখ ফিরিয়েছেন শহরবাসী।

Advertisement

দোলের আগে কলকাতার বাগড়ি মার্কেট, ক্যানিং স্ট্রিট, বড়বাজার, পোস্তা, খিদিরপুরের বাজার ছেয়ে যায় যে সমস্ত সামগ্রী তার মধ্যে পিচকিরি থেকে টুপি, মুখোশ থেকে গোঁফ-দাড়ি, বেলুন, পরচুল, এমনকী রংও চিনের তৈরি। কম দামের হওয়ায় রমরমিয়ে তা বিক্রি হয় কলকাতা ও শহরতলিতে। তবে এবার চিনে প্রস্তুত জিনিস থেকে শত যোজন দূরে থাকতে চাইছেন মানুষজন। কারণ, করোনা আতঙ্ক।  ভয়ে চিনা সামগ্রীতে হাতই দিচ্ছেন না ক্রেতারা। পাছে করোনা ভাইরাস নিশব্দে ঢুকে পড়ে শরীরে, এই ভয়ে।

holi 2

[আরও পড়ুন: খাস কলকাতায় ঋতুমতীকে সিনেমা হলের শৌচালয় ব্যবহারে বাধা, পুলিশের দ্বারস্থ মহিলা]

বাগড়ির এক বিক্রেতার কথায়, “আতঙ্কে এবার আর মাল তোলা হয়নি। আগের বছরের যা জিনিস রয়েছে তাও বিক্রি হচ্ছে না।” চিনা সামগ্রী গোডাউনে রেখে এখন কাটোয়া লাইনের বিভিন্ন প্লাস্টিক কোম্পানি থেকে পিচকিরি, বেলুন আনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। ধর্মতলার ফুটপাথের ব্যবসায়ী মিঠুন আলির কথায়, দোলের আগে ব্যবহৃত বিদেশি জামা-প্যান্টের চাহিদা থাকতো। এবার তা মোটেই নেই। মেড ইন চায়না, তাইওয়ানই এখন আতঙ্ক। গোডাউনে জমে থাকা জামা-প্যান্ট কম দামে হু হু করে বিক্রি হতো। এবার করোনা আতঙ্কে কেউ আর এদিকে আসছেন না। মাথায় হাত বিক্রেতাদের।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement