রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: শুধু ভোট চলে যাওয়া নয়, নিচুতলার কর্মী-সমর্থকরা বিজেপিমুখী হতে পারেন। নাম লেখাতে পারেন গেরুয়া শিবিরে। ভোটের আগে শঙ্কিত সিপিএম। তাই ‘বিজেপি-বিপদ’ এটা নিচুতলাকে বোঝাতে শুরু করল ‘পাঠচক্র’। ধর্মীয় ভেদাভেদ তৈরির চেষ্টা করছে বিজেপি, গেরুয়া শিবিরের এই ধর্মকে হাতিয়ার করে হিন্দুত্বের প্রচারে যাতে দলের সাধারণ কর্মী-সমর্থক কিংবা নিচুতলার নেতারা বিভ্রান্ত না হন সেজন্য দলীয় স্তরে পালটা কর্মীদের সচেতন করতে পাঠ দিতে হচ্ছে সিপিএমকে। নিচুতলায় পার্টিতে ভাঙন রুখতে এধরণের প্রচেষ্টা নজিরবিহীন।
বামের ভোট গিয়েছে রামে! সেই ভোট ২০১৯ সালে সেই যে গিয়েছে, এখনও ফেরেনি। পরপর ভোটের ফলাফলই তা স্পষ্ট করে দিয়েছে। অন্যদিকে, বাংলায় পরপর নির্বাচনে বিজেপিকে রুখে দিচ্ছে তৃণমূল। এই পরিস্থিতিতে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটকে বিজেপি-বিরোধিতায় আরও মনোনিবেশ করতে বলা হয়েছে। আর তা করতে গিয়ে ভোট বাঁচানোর পাশাপাশি এখন পদ্ম শিবিরের হাত থেকে নিচুতলায় নিজেদের ঘর বাঁচানোও লক্ষ্য সিপিএমের। কারণ, ছাব্বিশের ভোটকে সামনে রেখে দলীয় পতাকা ছেড়ে বাম কর্মী-সমর্থকদেরও গেরুয়া পতাকাতলে আসার আহ্বান জানিয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। আবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও বামেদের আহ্বান জানিয়েছেন বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য।
সূত্রের খবর, জেলাস্তরে সিপিএমের তরুণ প্রজন্মের নেতাদের পদ্মশিবিরে যোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তাব যাচ্ছে এলাকার বিজেপি নেতাদের তরফে। দলবদল করলে গেরুয়া শিবিরে ভাল পদ দেওয়ার অফারও দেওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে, তৃণমূলের বিকল্প বিজেপিই। বামেরা নয়। দীর্ঘদিন ধরে সিপিএম পার্টিটা করে যাচ্ছেন অথচ ভাল পদ পাচ্ছেন না পার্টি সংগঠনে। এরকম ভূরি ভূরি উদাহরণ রয়েছে সিপিএমের জেলায় জেলায়। বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ ও শংকর ঘোষ এবং সাংসদ খগেন মুর্মু সিপিএম ছেড়ে আদর্শ বদলে বিজেপিতে গিয়েছেন। কাজেই পুরনো এই উদাহরণ থাকাতেই ঘর ভাঙার আশঙ্কায় স্বস্তিতে নেই আলিমুদ্দিন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.