নিরুফা খাতুন: প্রবল বর্ষণে সোমবার রাত থেকে জলবন্দি মহানগর। জলমগ্ন হয়ে পড়ে আলিপুর চিড়িয়াখানাও। বৃষ্টিতে জল ঢুকে যায় চিড়িয়াখানার আবাসিকদের ঘরে। জলমগ্ন ঘর থেকে বেড়িয়ে পড়ে কুমির। দিনভর চিড়িয়াখানা প্রাঙ্গণে জলে ঘুরে বেড়াতে থাকল তারা। খাঁচা থেকে কুমির বেড়িয়ে পড়ায় হুলস্থুল কাণ্ড পড়ে যায়। জমা জলে কুমির ধরতে জাল নিয়ে নামতে হয় কিপারদের। হিংস্র জলজপ্রাণীকে ঘরে ফেরাতে নাকানিচোবানি খান তাঁরা।
আলিপুর চিড়িয়াখানায় বন্যপ্রাণীদের বাস। ১৭ থেকে ১৯টির মতো কুমির সেখানে রয়েছে। সূত্রের খবর, অতি প্রবল বৃষ্টিতে চিড়িয়াখানায় জল জমে যায়। একাধিক আবাসিকের খাঁচায়ও জল ঢুকে গিয়েছে। কুমিরের খাঁচা জলমগ্ন হয়ে যায়। তাদের খাঁচার যে নালা রয়েছে তাতে জল বেড়ে যাওয়ায় তারা নালা দিয়ে বেরিয়ে আসে। চিড়িয়াখানায় প্রাঙ্গণে তারা ঘুরে বেড়াতে থাকে। কর্মীরা জাল দিয়ে একে একে সবাইকে ধরে পুনরায় খাঁচায় ফিরিয়ে নিয়ে যায়। মঙ্গলবার চিড়িয়াখানা খোলা থাকে। তবে বৃষ্টির জেরে এদিন দর্শকরা আর চিড়িয়াখানামুখী হয়নি। ফলে বড়সড় দুর্ঘটনা কোন ঘটেনি।
চিড়িয়াখানার নালার সঙ্গে আদি গঙ্গার যোগ রয়েছে। ফলে কুমিরদের শহরে ঢুকে পড়ায় আশঙ্কা থেকে যায়। তার উপর বুধবার দেড়শো বছর পূর্তি হচ্ছে আলিপুর চিড়িয়াখানার। চিড়িয়াখানায় কর্মসূচি রয়েছে। হাজির থাকবেন বনমন্ত্রী বীরবাহ হাঁসদা। এছাড়া আরও অনেকে আসছেন। দ্রুত জল নামিয়ে কুমিরবন্দি করতে গিয়ে এদিন কার্যত হিমশিম খেতে হয় কর্তৃপক্ষককে। তবে কর্মীদের তৎপরতায় কুমিরগুলি চিড়িয়াখানার বাইরে যেতে পারেনি। তাদের নিরাপদে নিজেদের ঘরে ফিরিয়ে আনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আলিপুরের এক কর্মী জানান, জল বাড়লেও কুমিরদের চিড়িয়াখানার বাইরে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। চিড়িয়াখানার সঙ্গে আদি গঙ্গার যে সংযোগ মুখ রয়েছে সেখানে জাল দেওয়া রয়েছে। ফলে কুমির বেরোলেও সেই জালে আটকে পড়বে। হরিণ, গণ্ডার, জলহস্তীদের খাঁচাতেও এদিন জল ঢুকে যায়। পাম্প চালিয়ে জল নামানো হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.