সুদীপ রায়চৌধুরী: দুয়ারে রাজভবন! কোনও প্রতিকূল পরিবেশেই থামানো যাবে না কাজের গতি। এমনই ছিল নির্দেশ। তাই দফায় দফায় নিজে হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের নির্দেশে সক্রিয় ছিল রাজভবন। কোনও ফাইল আটকে থাকেনি এই সময়ে। প্রয়োজনে রাজ্যপাল নিজে ফোনে কথাও বলেছেন আধিকারিকদের সঙ্গে। সুস্থ হয়ে ফিরে বৃহস্পতিবার থেকে নিজের কার্যালয়ে এসে কাজে যোগ দিলেন আনন্দ বোস। রাজভবনের ওএসডি সূত্রে তা জানা গিয়েছে।
রাজভবন সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেছেন আনন্দ বোস। গত ২ বছর ধরে তিনি জনসংযোগ বাড়িয়ে চলেছেন। বিশেষত রাজ্যে কোনও অশান্তি হলে সেখানে গিয়ে জনতার খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেছেন। রাজভবনে তাঁদের জন্য খোলা হয়েছে ‘পিস রুম’। সেখানে প্রায় সবসময়ই কর্মী, আধিকারিকরা থাকেন। কেউ প্রয়োজনে ফোন করলে সমাধানের পথ বাতলে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার তিনি বৈঠকে নির্দেশ দিলেন, এধরনের জনসংযোগ আরও বাড়াতে হবে। বিশেষত অশান্ত এলাকায় শান্তি ফেরাতে সেখানকার লোকজনের সঙ্গে আরও বেশি করে কথা বলা দরকার। গ্রামে গ্রামে ঘুরে সেখানে রাত কাটানো জনসংযোগে সাহায্য করবে বলে মনে করেন রাজ্যপাল। তাতে সম্প্রীতি স্থাপনের কাজও সহজ হবে।
ওএসডি, অ্যাডিশনাল ডিসি-সহ রাজভবনের উচ্চ পদাধিকারীদের নির্ধারিত করে দেওয়া হবে একেকটি এলাকা। তাঁরা সেখানে গিয়ে জনগণের পরিস্থিতি দেখবেন। তারপর রাজ্যপালকে সে বিষয়ে রিপোর্ট দিতে হবে। ‘আমার গ্রাম’ নামে কর্মসূচিতে তার পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবেন রাজ্যপাল। এছাড়া রাজভবনের সাংস্কৃতিক পরিবেশ তৈরিতে আরও জোর দেওয়া হবে। আনন্দ বোসের পরিকল্পনা, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের সহায়তায় রাজভবনে হবে সংস্কৃত সংক্রান্ত আলোচনাসভা। দার্জিলিংয়ে হিল ফেস্টিভ্যাল আয়োজনে উদ্যোগ নিতে চান রাজ্যপাল। সবমিলিয়ে, জনসংযোগে আরও জোর দিচ্ছেন বাংলার রাজ্যপাল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.