Advertisement
Advertisement
Debangshu Bhattacharya

বামেদের বন্‌ধে সরকারি কর্মীদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক কেরলে! বাম সরকারকে বিঁধলেন দেবাংশু

কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ডাকা বন্‌ধে তৃণমূলের আপত্তি কিসের? প্রশ্ন তুলেছিল সিপিএম।

Debangshu Bhattacharya attacks Kerala's CPM led govt regarding all India strike called by Left
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:July 9, 2025 1:09 pm
  • Updated:July 9, 2025 1:13 pm   

ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: কেন্দ্রীয় শ্রম কোডের বিরোধিতায় আজ, বুধবার দেশজুড়ে বন্‌ধ চলছে বামেদের ট্রেড ইউনিয়নের ডাকে। দেশজুড়ে একাধিক জায়গায় তার প্রভাব পড়েছে। সবচেয়ে প্রভাব পড়েছে পরিবহণ ব্যবস্থায়। ট্রেন, বাস পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। তবে বাংলায় এই বন্‌ধ সংস্কৃতি এখন অতীত। কোনও ধর্মঘটেরই তেম প্রভাব পড়ে না এখানে। এদিকে, বামেদেরই ডাকা বন্‌ধে কেরলের বাম সরকার ফরমান জারি করেছে, সরকারি কর্মীদের অফিসে হাজিরা বাধ্যতামূলক। সোশাল মিডিয়ায় পিনারাই বিজয়ন সরকারের সেই বিজ্ঞপ্তি পোস্ট করে বামেদের তীব্র ভাষায় বিঁধলেন তরুণ তৃণমূল নেতা তথা দলের আইটি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য।

Advertisement

রাজ্যের কর্মসংস্কৃতিতে যাতে ধর্মঘটের বিন্দুমাত্র প্রভাব না পড়ে, সে বিষয়ে বরাবরই কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তৃণমূল সরকার। প্রতিটি ধর্মঘটেই সরকারি অফিসে হাজিরা নিয়ে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি জারি করে নবান্ন। ওই দিনগুলিতে অফিসে উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। অন্যথায় শাস্তির বিধান থাকে। ৯ জুলাই বাম ট্রেড ইউনিয়নগুলির আহ্বানে বন্‌ধ ব্যর্থ করে আর পাঁচটা স্বাভাবিক দিনের মতোই কাজের জগৎ চলবে, এই মর্মে নোটিস জারি হয়েছিল। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই একই নোটিস জারি করেছে কেরলের বাম পরিচালিত সরকারও। বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট উল্লেখ, বাড়িতে বসে বন্‌ধ সমর্থন নয়, অফিসে আসতে হবে কর্মীদের।

আর এখানেই বামেদের দ্বিচারিতা নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল। দলের আইটি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্যের গলায় কটাক্ষের সুর। সোশাল মিডিয়ায় পোস্টে তাঁর বক্তব্য, ‘ধর্মঘটের দিন কাজে যোগ না দিলে কী কী হবে তার একটি সরকারি ফরমান। আপনারা ভাবতে পারেন এটা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের.. কিন্তু না, ভুল ভাবছেন। এটা কেরালার বামফ্রন্ট সরকারের জারি করা ফরমান। ধর্মঘটটাও দেশজুড়ে বামফ্রন্টই ডেকেছে।’

এই ধর্মঘট কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের নয়া শ্রম কোডের বিরুদ্ধে, তাহলে কেন বিরোধিতা করছে তৃণমূল? এই প্রশ্ন তুলেছেন বামেরা। তাতে দেবাংশুর পালটা জবাব, ২০১১ সালের পর অর্থাৎ রাজ্যে শাসনক্ষমতা বদলের পর থেকে বন্‌ধ সংস্কৃতি বিদায় নিয়েছে। সর্বনাশা বন্‌ধ আসলে জনবিরোধী, আমজনতার বিপুল সমস্যা হয় তাতে। তাই যে দল বা সংগঠনই বন্‌ধ ডাকুক, তাতে বাংলায় কোনও প্রভাব পড়বে না।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ