শমীক ভট্টাচার্য ও দিলীপ ঘোষের বৈঠক। নিজস্ব চিত্র
রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: দলে একঘরে দিলীপ ঘোষ! একুশে জুলাইয়ে তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন! শত জল্পনার মাঝেই সল্টলেকের রাজ্য বিজেপি দপ্তরে হাজির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সাক্ষাৎ সারলেন সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের সঙ্গে। দুজনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ বৈঠক হয়। সেখান থেকে বেরিয়ে ‘ঝোড়ো’ ব্যাটিং করলেন দিলীপ। বললেন, “দিলীপ ঘোষের দাম আছে, দাম থাকবে। যাদের দাম থাকে তাঁদের নিয়েই জল্পনা হয়। যাঁদের দাম নেই তারা রাস্তায় গড়াগড়ি খায়।”
দলের দাপুটে নেতা দিলীপের ‘মান’ ভাঙাতে ফোন করেছিলেন শমীক। তাঁর আমন্ত্রণ রক্ষা করতে মঙ্গলবার রাজ্যদপ্তরে আসেন দিলীপ। তিনি আসতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন কর্মীরা। শুরু হয় স্লোগান দেওয়া। ‘দিলীপ ঘোষ স্বাগতম, বাংলার দামাল ছেলে দিলীপ ঘোষ স্বাগতম’, স্লোগান চলতে থাকে। ফুল, মিষ্টি নিয়ে হাজির হন কর্মীরা। অনুগামীদের হাত তুলে শান্ত করেন দিলীপ। এরপর শমীকও চেয়ারে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখেন। নবনির্বাচিত সভাপতির জন্য গেরুয়া উত্তরীয় এবং পদ্ম প্রতীকে মেমেন্টো নিয়ে এসেছিলেন দিলীপ। উপহার তুলে দেন প্রাক্তন সহকর্মীর হাতে। দুজনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়। সেখান থেকে বেরিয়ে স্বমেজাজে ঝোড়ো ব্যাটিং করেন দিলীপ।
দিন কয়েক আগে দিলীপ ঘোষের দলবদল নিয়ে শমীক বলেছিলেন, “দিলীপ ঘোষ সেলেবল নন।” সেই প্রসঙ্গ টেনে এদিন দিলীপ বলেন, “বাজারে যার দাম থাকে তার সেলের কথা ওঠে। যাদের দাম নেই তাদের কিনবে কে? তারা রাস্তায় পড়ে থাকে। দিলীপ ঘোষের দাম আছে, দাম থাকবে। দিলীপ ঘোষ সেলেবেল নয়।” পাশাপাশি নয়া রাজ্য সভাপতির ভূয়সী প্রশংসা করেন দিলীপ। বলেন, “যখন দলে এসেছিলাম তখন শমীকদা আমার সিনিয়র ছিলেন। নতুন-পুরনো সব কর্মীরা মিলেই দলকে এই জায়গায় এনেছে। লড়াই জারি থাকবে। শমীকদার নেতৃত্বেই নবান্নে পরিবর্তন আসবে।” পাশাপাশি রাজ্য় সভাপতিকে মেদিনীপুরে আসার জন্যও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
দলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মিটে যাবে বলে আশাবাদী শমীক। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সংঘবদ্ধ বিজেপিকে দেখতে পাওয়া যাবে বলেও দাবি করেছেন তিনি। সংবাদ প্রতিদিন ডট ইন-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শমীক বলেন, “দিলীপ ঘোষ ও বিজেপি সমার্থক। উনি বিজেপিতে ছিলেন, আছেন, থাকবেন। ওঁর পরবর্তী ভূমিকা কী হবে, পরবর্তী কর্মসূচি কী হবে সেটা আমাদের দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব ঠিক করবে।” সবমিলিয়ে বঙ্গ বিজেপিতে দিলীপ ঘোষের গুরুত্ব পাওয়া সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.