Advertisement
Advertisement
Dilip Ghosh

‘পরিষ্কার হয়ে যাবে কোনটা কোন ভাষা’, ভাষা বিতর্কে দিল্লি পুলিশের পাশেই দিলীপ!

'বাংলাভাষী আর বাংলাদেশিদের মধ্যে গুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে', দিলীপের নিশানায় শাসক শিবির।

Dilip Ghosh opens up on recent controversy on Bengali and Bangladeshi language

ফাইল ছবি

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:August 5, 2025 11:59 am
  • Updated:August 5, 2025 12:16 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলা-বাংলাদেশি ভাষা বিতর্কের দলের নীতি অনুসরণ করে দিল্লি পুলিশের পাশেই দাঁড়ালেন দিলীপ ঘোষ। মঙ্গলবার সকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বহু বিতর্কিত বিষয়টি নিয়ে রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতির মন্তব্য, ”বিদেশে রেডিওয় যেসব ভাষায় অনুষ্ঠান হয়, তার মধ্যে বাংলাদেশের ভাষাকেই তারা বাংলা বলে জানে। পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিরা যে ভাষায় কথা বলে, বাংলাদেশের লোকজনের ভাষা অন্য। ‘খাইতাসি’, ‘যাইতাসি’ এসব তো আমরা বলি না। সেই ভাষা শুনেই দিল্লি পুলিশের মনে হয়েছে যে সেটা বাংলাদেশি ভাষা। অসুবিধা কী? বরং এবার পরিষ্কার হয়ে যাবে কোনটা কোন ভাষা।”

Advertisement

আসলে সম্প্রতি দিল্লি পুলিশের একটি নির্দেশিকা ঘিরে যাবতীয় বিতর্কের সূত্রপাত। সেখানে ‘বাংলাদেশি ভাষা’ থেকে ইংরাজি অনুবাদ করার কাজের জন্য কর্মী চাওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, দিন কয়েক আগে দিল্লির লোধি কলোনি থেকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের কাছ থেকে যে নথি উদ্ধার হয়েছে, তা ‘বাংলাদেশি ভাষা’য় লেখা। সেই ভাষা বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য অনুবাদকের খোঁজ করছে দিল্লি পুলিশ। এতেই প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে বাঙালি মহল। বাংলা ভাষাকে ‘বাংলাদেশি’র তকমা দেওয়া আসলে দিল্লি পুলিশের ‘অজ্ঞতা’র পরিচয় বলে বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস কড়া ভাষায় কটাক্ষ করেছিল।

যদিও দিল্লি পুলিশের এহেন কাণ্ডে বিজেপি কোনও দোষ দেখছে না। রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যর বক্তব্য ছিল, “আপনি বাংলাদেশের একটা বই এনে পড়ুন। আর পশ্চিমবঙ্গের একটা বই এনে পড়ুন। আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন, কোনটা সুবোধ সরকার লিখেছেন, আর কোনটা বাংলাদেশের সফিকুল ইসলাম লিখেছেন। ওই ভাষাটা পড়লেই বোঝা যায়। সুতরাং বাংলা ভাষায় কথা বললেই সে ভারতবাসী হয়ে যাবে, বাংলা ভাষায় কথা বললেই তার নামটা ভোটার লিস্টে রেখে দিতে হবে, এটা হতে পারে না। পরিকল্পিত ভাবে বিভিন্ন জায়গায় নকল আধার কার্ড নিয়ে এখন ওরা বঙ্গভবনের মধ্যেও ঢুকে পড়ছে।” আর প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষও হাঁটলেন সে পথেই। তাঁর কথায়, ”বাংলা আর বাংলাদেশি তো গুলিয়ে দিচ্ছে তৃণমূল। এক লক্ষ বাংলাদেশিকে অবৈধভাবে পরিচয়পত্র পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা নিজেদের বাঙালিই বলব। দিল্লি পুলিশ যা করেছে, তাতে পরিষ্কার হয়ে যাবে কোনটা কোন ভাষা।”

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ