Advertisement
Advertisement

Breaking News

দিলীপ ঘোষ

‘বিজেপি কোনও সরকার লিজ নেবে না’, রাজ্যকে কটাক্ষ দিলীপের

রাজ্যে লকডাউনে মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগে সরব বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

Dilip Ghosh slams state government over Amphan situation
Published by: Paramita Paul
  • Posted:May 28, 2020 6:41 pm
  • Updated:May 28, 2020 6:41 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা ও আমফান মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। বারবার এই অভিযোগ করেছে বিজেপি। যার জেরে বুধবার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি অমিত শাহকে বলেছি, আপনার যদি মনে হয় আমি পারছি না, তাহলে আপনি করোনা সামলান।” এর পালটা আক্রমণ শানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর সাফ কথা, “বিজেপি কোনও সরকার লিজ নেবে না।”

Advertisement

পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরতেই বাংলায় লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এর মধ্যেই দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় তাণ্ডব চালিয়েছে আমফান। আর তার দাপটে বিপুল ক্ষতি হয়েছে রাজ্যের। জোড়া ফলায় বিদ্ধ বাংলার মানুষ। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ” কেন্দ্র সবসময় সাহায্যের জন্য প্রস্তুত। কেন্দ্র ইতিমধ্যেই হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। যেদিন ঝড় এসেছিল, তার পরদিনই প্রধানমন্ত্রী এসেছেন। কিন্তু তাই বলে আমরা কোনও সরকার লিজ নেব না। ” পাশাপাশি এদিন ফের রাজ্যে লকডাউন মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগে সরব হয়েছেন রাজ্যের বিজেপি সভাপতি। দিলীপ ঘোষের দাবি, “করোনা মোকাবিলায় ব্যর্থ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ব্যর্থ আমফান মোকাবিলাতেও। আর সরকারের এই ব্যর্থতা ২-৩ মাসেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।”দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে এদিন আরও একবার রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের আশঙ্কা উসকে দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে অবশ্য বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “সরকার ভাঙা বিজেপির সংস্কৃতি নয়। তবে কোনও সরকার যদি ভেঙে পড়ে, তার দায়ও আমাদের নয়।”

[আরও পড়ুন : সোশ্যাল মিডিয়াতে ভুয়ো পোস্টের অভিযোগ, অনুপম হাজরাকে হাজিরার নোটিস গিরিশ পার্ক থানার]

রেল রাজ্যের সঙ্গে কথা না বলে পরিযায়ী শ্রমিকদের পাঠানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ নিয়ে এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, “লোক নিয়ে আসা বা পাঠানোর দায়িত্ব রাজ্যের। আগামী ১ বছর ধরে সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু তারজন্য সব বন্ধ রাখা সম্ভব নয়। পরিযায়ী শ্রমিকদের আসবেই। ফলে সংক্রমণ বাড়তেই পারে। এক্ষেত্রে কলকাতা ও যে জেলাগুলিতে নতুন করে সংক্রমণ ধরা পড়ছে, সেখানে কড়াকড়ির দরকার আছে।”

[আরও পড়ুন : বিরোধ ভুলিয়ে দিল পরিযায়ী শ্রমিকের দল, তৃণমূল সরকারের পাশে ১৭ বামপন্থী সংগঠন]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement