সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাঙালির সেরা উৎসবে বাংলার আবেগ, বাঙালির অস্মিতায় শান। এবছর কলকাতার বেশ কয়েকটি নামী পুজোর থিম এই বিষয়টি। উৎসব উদযাপনেও তাই ভিনরাজ্যে বাঙালির উপর অত্যাচারের প্রতিবাদের ছবি দেখা গিয়েছে। মঙ্গলবার, অষ্টমীর দুপুরে মেয়েকে নিয়ে সেসব মণ্ডপ ঘুরে দেখলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দমদমের নাগেরবাজার, বাগুইআটি এলাকায় ঠাকুর দেখলেন, সারলেন জনসংযোগও। সঙ্গে সর্বক্ষণ ছিল মেয়ে আজানিয়া। এই প্রথম দুর্গাপুজোয় একেবারে সাধারণ দর্শনার্থীর মতো ঘুরতে দেখা গেল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে।
মঙ্গলবার দমদমে জপুরে একটি ক্লাবের পুজোমণ্ডপে আচমকাই হাজির হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে মেয়ে আজানিয়া ছাড়াও দেখা গেল দমদমের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়, পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষকে। মেয়েকে নিয়ে মণ্ডপ ও ঠাকুর দর্শন করেন অভিষেক। জপুরের এই জয়শ্রী ক্লাবের মণ্ডপটি কারাগারের আদলে তৈরি। ছোট্ট ঠাকুরদালান বানিয়ে সেখানে অধিষ্ঠান করা হয়েছে দেবী দুর্গাকে। মণ্ডপজুড়ে জেলের কুঠুরি, তাতে বন্দিদেরও রাখা হয়েছে। অভিষেক ও আজানিয়া খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখলেন মণ্ডপ, ঠাকুর প্রণাম সেরে বেরিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বললেন তিনি। এঁদের মধ্যে বেশিরভাগ পরিযায়ী শ্রমিক। নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা অভিষেকের কাছে বললেন তাঁরা। সেসব খুব মন দিয়ে শোনেন অভিষেক, পাশে থাকার আশ্বাস দেন। ব্যাগভর্তি উপহারও তুলে দেন তাঁদের হাতে।
জপুরের পর অভিষেক চলে যান বাগুইআটির অশ্বিনীনগরের বন্ধুমহলের পুজোয়। এখানকার থিম বাঙালি অস্মিতা। মণ্ডপসজ্জায় বিভিন্ন মনীষীর মূর্তি রাখা হয়েছে। স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বাঙালি সাহিত্যিকদের সেসব মূর্তিতে মাল্যদান করেন অভিষেক। পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রশংসা করেছেন তিনি।
এদিন সকালেই নিজের ফেসবুক পোস্টে রাজ্যবাসীকে মহাঅষ্টমীর শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। আর দুপুর হতে না হতেই মেয়েকে নিয়ে ঠাকুর দেখতে বেরলেন, সারলেন জনসংযোগও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.