Advertisement
Advertisement
Durga Puja 2025

‘অমৃতকুম্ভের সন্ধানে’ চেতলা অগ্রণী, সওয়া ১ কোটি রুদ্রাক্ষের মণ্ডপসজ্জায় বঙ্গবিদ্বেষের প্রতিবাদ

সমরেশ বসুর জন্মশতবর্ষে শ্রদ্ধার্ঘ্য মেয়রের।

Durga Puja 2025: Chetla Agrani Protest against anti-Bangla issue
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:September 13, 2025 11:12 am
  • Updated:September 13, 2025 2:43 pm   

স্টাফ রিপোর্টার: চেতলা অগ্রণীর এবছরের পুজোমণ্ডপে প্রায় এক কোটি ২৬ লাখ রুদ্রাক্ষ ব্যবহার করা হয়েছে। এই বিপুল পরিমাণ রুদ্রাক্ষ এসেছে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, নেপাল ছাড়াও বেনারস, উত্তরকাশী থেকে। বাংলার পাঁচটি জেলার ২০০ জন শিল্পী বিশেষ প্রশিক্ষণ শেষে ওই রুদ্রাক্ষ দিয়েই অভিনব মণ্ডপ তৈরি করছেন। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের দুর্গাপুজো চেতলা অগ্রণীর এবছরের থিম নিয়ে বলতে গিয়ে এমনই চমকপ্রদ তথ্য তুলে ধরেছেন প্রখ্যাত শিল্পী সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

ফেব্রুয়ারি থেকে মণ্ডপ নির্মাণের কাজ শুরু হলেও গত দু’মাস ধরে দফায় দফায় বৃষ্টিতে ব্যাহত হয়েছে রুদ্রাক্ষ সাজিয়ে তোলার গতি। বাংলা তথা বাঙালির অপমানের বিরুদ্ধে নীরবে প্রতিবাদ জানিয়ে পুজোর থিম করা হয়েছে প্রয়াত সাহিত্যিক সমরেশ বসুর জন্মশতবর্ষে ‘জ্ঞানমন্থনের প্রয়াসে- অমৃতকুম্ভের সন্ধানে’। শুক্রবার পুরমন্ত্রী তথা মেয়র ফিরহাদ হাকিম নিজের পুজো সম্পর্কে বলেন, “মহালয়ার দিন বিশ্বজননীর চক্ষুদান করবেন বঙ্গজননী জননেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে দশর্কদের জন্য পুজোমণ্ডপ ও মাতৃপ্রতিমা দর্শনের সুযোগ থাকছে ২৪ তারিখ থেকে। কারণ, এখনও মণ্ডপের অনেক কাজ বাকি রয়েছে।”

থিমশিল্পী সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “মেয়র উদ্যোগী হয়ে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, মেদিনীপুর-সহ পাঁচ জেলার ২০০ শিল্পীকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দেন। তাঁরাই মণ্ডপ গড়ার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।” বেনারসের বেশ কয়েকজন সাধুর থেকে রুদ্রাক্ষ নিয়ে নানা পৌরাণিক ব্যাখা শোনা হয়েছে। শিল্পীর কথায়, পুরাণে রুদ্রাক্ষ নিয়ে বিভিন্ন ব্যাখা রয়েছে। ত্রিপরাশুরকে মারার সময় রুদ্র অর্থাৎ শিবের চোখ থেকে একফোঁটা জল পড়েছিল। তার থেকেই সৃষ্টি হয়েছে রুদ্রাক্ষ। মণ্ডপের বাইরে পুরাণের সেই কাহিনি শিল্পীর কাজের মাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কথায়, “দুর্গাপুজো (Durga Puja 2025) শুধুমাত্র বাঙালির উৎসব নয়। ইউনেসকো পুজোকে ‘ইনটেনজেবল হেরিটেজ’ তকমা দিয়েছেন। যার নেপথ্যে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছেন এই বাংলার উৎসবকে। বাংলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে কলকাতায় আসা একেকজন কারিগর তিনমাস পরিশ্রমের পর ৫০-৬০ হাজার টাকা বাড়ি নিয়ে যান। এর থেকে বড় উৎসব আর কী হতে পারে?” ক্লাবের কার্যকরী সভাপতি সব্যসাচী রায়চৌধুরীর দাবি, “পুলিশের হিসাবেই গতবছর অগ্রণীর পুজো দেখতে এক কোটি দর্শনার্থী এসেছিলেন, এ বছর বাংলা-বাঙালির প্রতিবাদের টানে রুদ্রাক্ষের মণ্ডপে দেড় কোটি পেরিয়ে যাবে।”

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ