দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: মাতৃ আরাধনায় মাকে স্মরণ। মনে পড়ে গেল ছোটবেলার গ্রামের কথা, সংগ্রামের কথা। আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা। ষষ্ঠীর সকালে ভাঙড়ের এক গ্রামে তিনি গিয়েছিলেন পুজোর উদ্বোধন করতে। গ্রাম দেখেই তিনি নস্ট্যালজিয়ায় ডুবে গেলেন। মন খুলে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন নিজের শৈশবের কথা। রাজস্থানে তিনি যে গ্রামে থাকতেন, সেখানকার বর্ণনা করেন। পুলিশ কমিশনারকে অন্য রূপে দেখে অবাক স্থানীয়রাও।
রবিবার, ষষ্ঠীর সকালে একটি গ্রামে ভাঙড়ের কালিকাপুর মায়ের আশ্রম ও মঙ্গলপুর সর্বজনীনের পুজো উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন কলকাতার পুলিশের কমিশনার মনোজ বর্মা। গ্রাম দেখে, সেখানকার মানুষজনদের কাছে পেয়ে তিনি বলেন, ”এখানে এসে নিজের গ্রামের কথা মনে পড়ছে। এখানে তবু বড় বড় পাকা বাড়ি, বিদ্যুৎ, জল সবই আছে। রাজস্থানের যে গ্রামে আমাদের বাড়ি সেটা বাসরাস্তা থেকে আট কিলোমিটার দূরে। সেখানে বহুদিন পানীয় জল, বিদ্যুৎ ছিল না, নদীর জল খেতাম আমরা। আমার ৮৫ বছরের মা এখনও সেখানে চাষবাস করেন। এই গ্রামের ছোট বাচ্চারাই একদিন আইএএস, আইপিএস হবে।”
আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ভাঙড়ে ব্যাটেলিয়ান কিংবা বাকি চারটে থানা চালু হওয়ার সম্ভাবনা কম। এদিন পুজোর উদ্বোধনে গিয়েও এ প্রসঙ্গে কথা বলেন সিপি মনোজ বর্মা। বললেন, ”জমি দেখা হয়েছে। একটা থানা চালু হওয়ার মতো পরিস্থিত আছে। বাকি থানাগুলিও পরে চালু হবে।” ভাঙড় ডিভিশনে এবার মোট ১৪৭টি দুর্গাপুজোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ষষ্ঠীতে পুলিশ কমিশনারের উদ্বোধনের মধ্যে দিয়েই পুরোদমে শুরু পুজোর আনন্দ শুরু হয়ে গেল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.