Advertisement
Advertisement

Breaking News

Election Commission of India

আর রাজ্যের উপর নির্ভরশীল থাকবে না মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর! মুখ্যসচিবকে চিঠি কমিশনের

বাংলাতেও শুরু হয়ে গেল ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধনের প্রস্তুতি!

Election Commission of India wants CEO west Bengal to work independently

প্রতীকী ছবি।

Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:July 22, 2025 6:01 pm
  • Updated:July 22, 2025 6:01 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিহারে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই বাংলায় বিরাট পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনের। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরকে রাজ্য সরকারের অধীন থেকে স্বতন্ত্র করতে চেয়ে মুখ্য সচিবকে চিঠি দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন।

Advertisement

কমিশনের তরফে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে লেখা চিঠিতে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরকে ‘স্বতন্ত্র’ করার কথা বলা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের ওই ‘নির্দেশ’ কার্যকর করলে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের উপর রাজ্য সরকারের আর কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। আপাতত রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের অধীনে কাজ করে CEO-র দপ্তর। কিন্তু কমিশন চাইছে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে স্বতন্ত্র করতে। যাতে রাজ্যের উপর তিনি আর্থিকভাবে নির্ভরশীল না হোন। স্বাধীনভাবে কর্মী নিয়োগের অধিকারও সেক্ষেত্রে থাকবে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের হাতেই।

ওয়াকিবহাল মহলের মধ্যে ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধনের প্রাথমিক প্রস্তুতি হিসাবেই এই পদক্ষেপ করতে চাইছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এই মুহূর্তে বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ করছে নির্বাচন কমিশন। যাকে বলা হচ্ছে ‘স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন’। অবৈধ অনুপ্রবেশকারী-সহ অযোগ্য ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কমিশন। তারা বলেছে, যাতে শুধুমাত্র যোগ্য ভারতীয় নাগরিকরাই ভোটাদানের অধিকার পান সেটা নিশ্চিত করতেই এই সংশোধনী। বাংলার পর অন্যান্য রাজ্যেও এই বিশেষ সমীক্ষা করা হবে বলেই সূত্রের খবর।

তৃণমূলের অভিযোগ, কমিশনের এই পদক্ষেপ আসলে ঘুরপথে এনআরসির চেষ্টা। বেছে বেছে বিরোধী ভোটারদের এবং সংখ্যালঘুদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। একদিন আগেই একুশে জুলাইয়ের সভামঞ্চ থেকে তৃণমূল নেত্রী দাবি করেছেন, “যেভাবে নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দিচ্ছে, সেটা সুপার এমার্জেন্সির শামিল। বাংলার একজনের নামও ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়লে আন্দোলন হবে। দরকারে দিল্লিরাজের পতন ঘটাতে হবে। দিল্লিতে গিয়ে আন্দোলন হবে। কমিশনের দপ্তর ঘেরাও হবে।” বস্তুত, বাংলায় সমীক্ষা করতে চাইলে রাজ্য সরকার যে সহযোগিতা করবে না সেটা মমতার ওই বক্তব্যেই স্পষ্ট হয়ে যায়। তারপরই CEO’র দপ্তরকে পৃথক করতে চেয়ে চিঠি দিয়ে গেল নবান্নে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement