ফাইল ছবি
সুদীপ রায়চৌধুরী: আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে জোরকদমে SIR প্রস্তুতি নেওয়ার বার্তা নির্বাচন কমিশনের। বুধবার রাজ্যের জেলাশাসকদের সঙ্গে ভারচুয়াল বৈঠক হয় কমিশনের আধিকারিকদের। SIR প্রস্তুতিতে আগামী সাতদিনের ডেডলাইন বেঁধে দেন তাঁরা।
এদিনের বৈঠকে ছিলেন উপনির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ ভারতী, কমিশনের তথ্যপ্রযুক্তি শাখার ডিরেক্টর জেনারেল সীমা খান্না, কমিশনের সচিব এসবি যোশী এবং উপসচিব অভিনব আগরওয়াল। জেলাশাসকদের সঙ্গে ভারচুয়াল বৈঠক করেন তাঁরা। যদিও উত্তরবঙ্গের বিপর্যস্ত এলাকার জেলাশাসকরা ছিলেন না। সূত্রের খবর, এসআইআর প্রস্তুতি ঠিক কতদূর, তা নিয়ে জেলাশাসকদের সঙ্গে কথা বলেন কমিশনের আধিকারিকরা। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত প্রস্তুতি সেরে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এনুমারেশন ফর্ম ছাপানোর জন্য প্রস্তুতি পর্বও সেরে রাখতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলায় মোট ভোটার প্রায় ৭.৬৫ কোটি। প্রত্যেক ভোটারকে দু’টি করে ফর্ম দেওয়া হবে। যার একটি জমা নেবে বিএলও আর অন্যটি থাকবে ভোটারের কাছে। সুতরাং অন্তত ১৫ কোটি ফর্ম লাগবে। দিল্লি থেকে এই ফর্মের সফট কপি জেলায় জেলায় পাঠানো হবে। তা ছাপানোর দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনকে দেওয়ার কথা। যাতে এসআইআর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ৪-৫ দিনের মধ্যে কমপক্ষে ৩০ শতাংশ ফর্ম ছাপানোর কাজ শেষ করা যায়, সেভাবে প্রস্তুতি পর্ব সেরে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিহারের এসআইআর নিয়ে ভুরিভুরি অভিযোগ উঠেছে। বারবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের ভূমিকা। ইতিমধ্যে সেসব আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কমিশনের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেই খবর। তেমনই কোনও অভিযোগ যেন বাংলার আধিকারিকের বিরুদ্ধে না ওঠে, সেই সতর্কবার্তাও কমিশনের তরফে জারি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ করেছে নির্বাচন কমিশন। যাকে বলা হয় ‘স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন’। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ২০০৩ সালে বিহারে শেষবার SIR হয়েছিল। বাংলায় শেষবার ২০০২ সালে SIR হয়েছিল। অনুপ্রবেশকারী-সহ অযোগ্য ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ কমিশনের। তারা বলেছে, যাতে শুধুমাত্র যোগ্য ভারতীয় নাগরিকরাই ভোটদানের অধিকার পান সেটা নিশ্চিত করতে এই সংশোধনী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.