সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক অনলাইন সংবাদমাধ্যমের সম্পাদকের গ্রেপ্তারি নিয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন রাজ্যপাল (Jagdeep Dhankhar)। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যে সংবাদমাধ্যমের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে এডিটর্স গিল্ড-সহ সাংবাদিকদের একাধিক সংগঠনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন রাজ্যপাল।
Congratulations to Yezdezard Jahangir Dastoor Senior Advocate on being appointed as Additional Solicitor General for High Court of Calcutta.
AdvertisementCongratulations to Vikramjit Banerji Senior Advocate on being reappointed as Additional Solicitor General for Supreme Court.
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1)
রবিবার রাতে ‘আরামবাগ টিভি’ নামের এক অনলাইন সংবাদমাধ্যমের সম্পাদক সফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে সফিকুলের স্ত্রী আলিমা বিবি এবং ‘আরামবাগ টিভি’র আরেক সাংবাদিক সুরজ আলি খানকে। তাঁদের বিরুদ্ধে সংবাদ পরিবেশনের নামে তোলাবাজির অভিযোগ ছিল। রবিবার সফিকুল এবং সুরজের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের হয়। যাতে অভিযোগ ছিল, সরকারি গাছ কাটা নিয়ে সুরজ এক ব্যক্তিকে হুমকি দিয়েছেন। অভিযোগকারীর দাবি, সুরজ তাঁর কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকার ‘তোলা’ চেয়েছেন। না দিলে গাছ কাটা নিয়ে দুর্নীতির ‘ভুয়ো’ খবর ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। সেই মামলার ভিত্তিতেই ওই সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে রবিবার রাতে।
যদিও ‘আরামবাগ টিভি’র আধিকারিকদের দাবি, সফিকুল এবং সুরজের উপর পুরনো রাগ পুলিশের। এপ্রিল মাসে ‘আরামবাগ টিভি’তে একটি খবর সম্প্রচারিত হয়। যাতে দেখানো হয়, লকডাউনের মধ্যেও থানা থেকে স্থানীয় কতগুলি ক্লাবকে আর্থিক সাহায্যের চেক বিলি করা হচ্ছে। সেই খবরে দাবি করা হয়, তথাকথিত এই ‘ক্লাব’গুলির অস্তিত্ব নেই। শাসকদলের নেতামন্ত্রীদের টাকা পাইয়ে দিতেই এভাবে ক্লাবের নামে থানা থেকে চেক বিলি করা হচ্ছে। তখনই সফিকুলের বিরুদ্ধে ‘ভুয়ো’ খবর সম্প্রচারের মামলা দায়ের করা হয়েছিল। যদিও আদালত তাঁর গ্রেপ্তারিতে স্থগিতাদেশ দিয়ে দেয়। সেই মামলায় পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তবে সফিকুলের দাবি, তখন থেকেই তাঁকে জেলে ঢোকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
রবিবার সফিকুলের গ্রেপ্তারির পরই সরব হন রাজ্যপাল। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন,”সরকারি টাকা ভুয়ো ক্লাবগুলির মধ্যে বিলি করার জেরে সাংবাদিক সফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এটা সংবাদমাধ্যমের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ। এভাবে সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করার অর্থ গণতন্ত্রেরও কণ্ঠরোধ।” নিজের টুইটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), এডিটর্স গিল্ড এবং প্রেস ক্লাবকে ট্যাগও করেছেন রাজ্যপাল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.