অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: বাড়িতে বিদেশি কিংবা শংকর প্রজাতির সারমেয় পুষলে হাওড়া শহরের বাসিন্দাদের এবার পুরসভার কাছ থেকে নিতে হবে লাইসেন্স। অন্যথায় মালিকের বিরুদ্ধে পুরসভা আইনি ব্যবস্থা নিতে পারবে। সোমবার হাওড়া পুরসভার তরফে এমনটাই জানিয়েছেন হাওড়া পুরসভার মুখ্য প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী।
লাইসেন্সের জন্য পোষ্যের মালিকরা হাওড়া পুরসভায় অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এজন্য বছরে পুরসভার কাছে ১৫০ টাকা ফি-ও জমা দিতে হবে। শুধু সারমেয় নয়, আগামিদিনে বাড়িতে বিদেশি পাখি পুষলেও পুরসভার থেকে লাইসেন্স নিতে হবে বলে এদিন স্পষ্ট জানান মুখ্য প্রশাসক। সেপ্টেম্বর মাস থেকেই পোষ্যের মালিকরা লাইসেন্সের জন্য অনলাইন আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের সময় পুরসভার কাছে পোষ্যের সাম্প্রতিক কালের ভ্যাকসিনেশনের শংসাপত্র লাগবে। একই সঙ্গে লাগবে পোষ্যের মালিকের আধার কার্ডের মতো পরিচয়পত্র বা নথি। মুখ্য প্রশাসক জানান, হাওড়া পুরসভায় এই প্রথম বিদেশি বা শংকর প্রজাতির পোষ্য সারমেয়র জন্য লাইসেন্স করার প্রথা চালু হল। ইতিপূর্বেই কলকাতা পুরসভায় এই লাইসেন্স করানোর এই পদ্ধতি চালু রয়েছে।
কিন্তু কেন বাড়ির সারমেয়দের জন্য এই লাইসেন্স নেওয়া বাধ্যতামূলক করছে হাওড়া পুরসভা? উত্তরে মুখ্য প্রশাসক জানান, এটা হাওড়াবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। তা মেনেই লাইসেন্স নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হল। কারণ, অনেক সময়ই দেখা যাচ্ছে বাড়ির কুকুর বাইরে বেরিয়ে প্রতিবেশী কিংবা পথচলতি মানুষের ক্ষতি করছে। যিনি পোষ্যের মালিক তিনি বৈধভাবে কুকুর পুষছেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কিন্তু পোষ্যের মালিকের কাছে যদি লাইসেন্স কিংবা সরকারি নথি থাকে তা হলে এই বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে না। সেজন্যই বাসিন্দাদের একাংশের দাবি মেনেই লাইসেন্স চালু করেছে হাওড়া পুরসভা। পুরসভার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন হাওড়া শহরের ডগ লাভার ও পশুপ্রেমীরা। হাওড়ার পশুপ্রেমী ঈপ্সিতা রায় বললেন, “রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ খুবই ভালো। কিন্তু লাইসেন্স চালু করার পাশাপাশি রাজ্য সরকারকে দেখতে হবে কেউ যাতে অবৈধভাবে কুকুরের প্রজনন ঘটিয়ে তার পর বয়স্ক কুকুরকে রাস্তায় ছেড়ে দিয়ে অবৈধ ব্যবসা না করেন। অনেক ক্ষেত্রেই এই ঘটনা ঘটছে। এই বিষয়টিতে বিশেষ নজর দিতে হবে প্রশাসনকে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.