স্টাফ রিপোর্টার: ঢাক-দুগ্গাপুজোর শব্দবাহন। ঢাক যখন বেজে ওঠে ছন্দোময় তালে, পুজোর গন্ধ হেঁকে ধরে বাঙালির স্মৃতি ও সত্তা। শনিবার রবীন্দ্রসদন চত্বরে ঢাকের বোলেই উদ্বোধন হল ‘শারদ বইপার্বণ ২০২৫’-এর। এটি যেন মিনি বইমেলা। ‘কলকাতা পুস্তকমেলা’ যদি হয় শীতের স্মারক, তা হলে এটি বয়ে আনে শারদোৎসবের আগাম মাধুর্য। আড়েবহরে ছো
ট হলেও এর প্রভাব অস্বীকার করার জো নেই তাই। উদ্যোগে ‘পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড’।
সহায়তায় রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ। এটি চলবে ৩০ আগস্ট থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এদিন একযোগে ‘শারদ বইপার্বণ’-এর উদ্বোধন করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, কিংবদন্তি সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, বিশিষ্ট ঔপন্যাসিক প্রচেত গুপ্ত। ছিলেন ‘পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড’-এর সভাপতি সুধাংশুশেখর দে ও সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়-সহ অন্যান্য সদস্য।
উদ্বোধনী অভিভাষণে ব্রাত্য বসু বলেন- বইয়ের পাঠক কমে যাচ্ছে এমন ভাবার কোনও কারণ নেই। সোশাল মিডিয়ায় যে অনবরত উচ্ছ্বাস ও উল্লাস চলছে, যে-ক্যাকোফোনি তৈরি হচ্ছে, তার বিপরীতে বইয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। এই ক্ষুদ্র বইপার্বণটি পাঠক ও প্রকাশকের আন্তঃসম্পর্ক রক্ষা করতে যত্নশীল।
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠেও শোনা যায় আশার কথা। তিনি বলেন, ‘রিল’ তৈরির মধ্য দিয়ে প্রত্যেকে ক্ষণিকের অমরত্ব অধিকার করতে চাইছে। এই প্রবণতাকে এড়িয়ে যাওয়ার উপায় আপাতত নেই। তবে বই-বান্ধব পরিসরের মৃত্যু ঘটেছে তাও বলা অনুচিত। গিল্ডের তরফে সুধাংশুশেখর দে বলেন- এখানেই পাঠকরা সব চেয়ে বেশি মাত্রায় ‘ডিসকাউন্ট’ পান, যা কলকাতা বইমেলায় প্রদান করা সম্ভব হয় না। সেদিক থেকেও ‘শারদ বইপার্বণ’ অনন্য।
অতিথিদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়। ৬৩টি বইয়ের স্টল রয়েছে এবার। স্থানাভাবের কারণে অনেক প্রকাশককে স্টল দেওয়া যায়নি। গিল্ড আশাবাদী, পরিসরের সমস্যা মিটলে আরও বেশি প্রকাশক অংশ নিতে পারবেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.