Advertisement
Advertisement
Esplanade

ধর্মতলায় তৃণমূলের ‘ভাষা আন্দোলন’ মঞ্চ খুলল সেনা, তুঙ্গে তরজা

কী যুক্তি সেনার?

Indian Army opens Language Movement memorial in Esplanade

১ সেপ্টেম্বর, সোমবার। ধর্মতলায় তৃণমূলের মঞ্চ খুলছে সেনা। ছবি: অরিজিৎ সাহা

Published by: Sayani Sen
  • Posted:September 1, 2025 3:23 pm
  • Updated:September 1, 2025 4:14 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্মতলায় তৃণমূলের ‘ভাষা আন্দোলন’ মঞ্চ খুলল সেনা। তাদের দাবি, গত ৩১ আগস্ট পর্যন্ত কর্মসূচির অনুমতি ছিল। নির্দিষ্ট সময়সীমা পেরনোর পর মঞ্চ খোলা হচ্ছে। যদিও সেনার ‘তৎপরতা’র নেপথ্যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছে তৃণমূলের। বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে মঞ্চ খোলার সিদ্ধান্ত বলেই দাবি শাসক শিবিরের। যদি সে অভিযোগ খারিজ করেছে বিজেপি।

Advertisement

ভিনরাজ্যে বাংলায় কথা বললে বাংলাদেশি সন্দেহে অত্যাচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। আর সেই অভিযোগকে কেন্দ্র করে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। পথে নেমে আন্দোলনে শামিল খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা-সহ বোলপুর, ঝাড়গ্রাম-সহ একাধিক জেলায় মিছিল করেন তিনি। ইতিমধ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের পুনর্বাসনে ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পও চালু করেছে রাজ্য সরকার। ভিনরাজ্য থেকে বাংলায় ফেরা শ্রমিকদের জন্য এক বছর ৫ হাজার টাকা করে অনুদানও ঘোষণা করা হয়। এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শনি এবং রবিবার – সপ্তাহে দু’দিন করে ধর্মতলায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে রিলে অবস্থান করছিলেন তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা। সেখানেই তৈরি করা হয় ‘ভাষা আন্দোলন’ মঞ্চ।

সোমবার আচমকা সেনাবাহিনীর জওয়ানরা মেয়ো রোডে পৌঁছয়। সভামঞ্চে খুলে ফেলে সেনা। ছুড়ে ফেলা হয় ত্রিপল। এই ঘটনার নেপথ্যে রাজনৈতিক অভিসন্ধি দেখছে তৃণমূল। তাদের দাবি, তৃণমূলের আন্দোলনের ঝাঁজ স্তিমিত করতে বিজেপি এই কাজ করাচ্ছে। গেরুয়া শিবির এই অভিযোগ উড়িয়ে দেয়। তাদের বক্তব্য, “ময়দান সেনার, তৃণমূলের জমিদারি নয়।” সেনার তরফে সিপিআরও গ্রুপ ক্যাপ্টেন হিমাংশু তিওয়ারি সাফ বলেন, “৩ দিনের বেশি কর্মসূচি করতে হলে প্রতিরক্ষামন্ত্রকের অনুমতি নিতে হয়। ২ দিনের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। ওই মঞ্চ এক মাস ধরে রেখে দেওয়া হয়। আয়োজকদের কাছে মঞ্চ খোলার আবেদন জানানো হয়। কিন্তু খোলা হয়নি। কলকাতা পুলিশকে জানিয়ে সেনার তরফে মঞ্চ খোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।” এই ঘটনার খবর পাওয়ামাত্র ঘটনাস্থলে পৌঁছন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম, দেবাশিস কুমার। তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন মমতা। 

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ