সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিহারের পর বাংলায় এসআইআর চালু করার চেষ্টা চলছে! আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে তালিকা থেকে বহু ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হতে পারে। সেই আশঙ্কাও করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। কার্গিল বিজয় দিবসকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন বাংলায় নয়া ছক কষছে বলে অভিযোগ। কার্গিল বিজয় দিবসের পালনকে সামনে স্পেশ্যাল ইন্টেনসিভ রিভিশন-এর (এসআইআর) প্রচার চালাতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। এমনই অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। আগামী কাল ২৬ জুলাই কার্গিল বিজয় দিবস। সেই উদ্দেশ্যে এই অনুষ্ঠান করতে আলিপুর বডিগার্ড লাইন্সের প্রেক্ষাগৃহকে বেছে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
যদিও এই পরিস্থিতি নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ওই অনুষ্ঠান নাকি তাদের তরফে করা হচ্ছে না। অভিযোগ, কার্গিল বিজয় দিবস উদযাপনকে সামনে রেখে পুলিশ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে এসআইআরের উপযোগিতা প্রচার করতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই রাজ্যকে না জানিয়েই কমিশন বিভিন্ন নির্দেশ দিয়ে চলেছে। অভিযোগ, ২০২৬-এর বিধানসভা ভোটের আগে নির্বাচন কমিশনের একাংশ বিজেপির কার্ড খেলতে শুরু করে দিয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, কেন নির্বাচন কমিশন কার্গিল দিবস পালন করবে? আর যদি পালন করে, তাহলে কেন সেটি আলিপুর বডিগার্ড লাইনের প্রেক্ষাগৃহে হবে? কেন বেছে বেছে ভবানীপুরে প্রেক্ষাগৃহকে বেছে নেওয়া হল? যেখানে কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়াম-সহ বিভিন্ন জায়গায় সেনাবাহিনীর কার্যালয় আছে। তাহলে কি কোনও বিশেষ পরিকল্পনা করেছে কমিশন? একাধিক প্রশ্ন বাংলার রাজনৈতিক মহলে ঘুরছে।
এদিন এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশনের কাজ ভোটার নথিভুক্ত করা। ভবানীপুর কেন্দ্রকে টার্গেট করা হচ্ছে। কার কেন্দ্র সেটি? কোনও কুমতলব করা হচ্ছে।” তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, “এই চিঠি কেন দেওয়া হল? কারা দিল? এই চিঠির নেপথ্য কাহিনী কী?” দপ্তর থেকে অফিসিয়ালি ক্ল্যারিফাই করা উচিত বলে দাবি তুলেছেন কুণাল।
প্রসঙ্গত, বিহারে এসআইআর চালু হওয়ায় লক্ষ লক্ষ মানুষ ভোটাধিকার হারিয়েছেন। বিধানসভা ভোটের আগে বিহারে এই ঘটনায় রাজনৈতিক চর্চা চলছে। ওই রাজ্যে রাজনৈতিক তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিজেপি নির্বাচন কমিশনকে কাজে লাগিয়ে বিহার দখল করতে চাইছে বলেও অভিযোগ। সংসদে বাদল অধিবেশন শুরু হয়েছে। সংসদের ভিতরে ও বাইরে তৃণমূল-সহ বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের প্রতিনিধিরা এই ইস্যুতে প্রতিবাদের ঝড় তুলেছেন। সেই আবহে জাতীয় নির্বাচন কমিশন বাংলার সরকারকে নোটিস পাঠিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অফিসকে স্বতন্ত্র করতে বলেছে। আর তারপরই কার্গিল বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে কলকাতায় এই অনুষ্ঠান ঘিরে জোর চর্চা চলছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.