ফাইল ছবি।
অর্ণব আইচ: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী অনামিকা মণ্ডলের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় কেটে গিয়েছে বেশ কয়েকটা দিন! খুন নাকি আত্মহত্যা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সোমবার মৃত ছাত্রীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এরপরই আজ মঙ্গলবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন লালবাজারের হোমিসাইড শাখার আধিকারিকরা। ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার প্রণব কুমার, গোয়েন্দা প্রধান রূপেশ কুমারও।
ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখার পাশাপাশি কীভাবে ঘটে গেল এমন এক ঘটনা তাও বোঝার চেষ্টা করছেন আধিকারিকরা। অন্যদিকে এদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখেন কলকাতা পুলিশের ডিসি (এসএসডি) বিদিশা কলিতাও।
সূত্রের খবর, এদিন কলকাতা পুলিশের তরফে বেশ কয়েকটি বিষয় খতিয়ে দেখা হয়। যেমন সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা। যেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটে লাগানো। এছাড়াও ইউজি আর্টস বিল্ডিংয়ে লাগানো সিসিটিভির ফুটেজও এদিন পরীক্ষা করে দেখেন আধিকারিকরা। এই ক্যামেরাটির মুখ চার নম্বর গেটের দিকেই রয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, এদিন দুই ক্যামেরাতে ধরা পড়া তরুণীর গতিবিধির ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখেন তদন্তকারীরা। বিশেষ করে তরুণীর বাথরুমে ঢোকার আগে সেখানে কেউ গিয়েছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হয়।
অন্যদিকে জলের গভীরতাও পরীক্ষা করে দেখেছেন শীর্ষ আধিকারিকরা। জলে ডুবে ওই তরুণীর মৃত্যু সম্ভব কি না, তা বুঝতেই জলের গভীরতা ঠিক কতটা তা খতিয়ে দেখা হয়। দুর্ঘটনাবশত নাকি ধাক্কা দেওয়া হয়েছে? তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অনামিকার মোবাইল ইতিমধ্যে বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, সন্দেহজনক কিছু ফোনে আছে কি না তা খতিয়ে দেখছেন আধিকারিকরা। বিশেষ করে ফোন কলের ডিটেলস, চ্যাট হিস্ট্রি, এমনকী ফটো গ্যালারিও খতিয়ে দেখেন আধিকারিকরা।
এছাড়াও ঘটনার দিন যে তিনজন পড়ুয়া ওই তরুণীকে জলে পড়ে থাকতে দেখেন তাঁদের বক্তব্যও রেকর্ড করতে চান তদন্তকারীরা। পাশাপাশি যিনি জল থেকে অনামিকার দেহ উদ্ধার করেন এবং যে সমস্ত পড়ুয়া ঘটনাস্থলে এসেছিলেন তাঁরা সবাই পুলিশের রেডারে রয়েছেন বলেই খবর। জানা যাচ্ছে, সবার বক্তব্য খতিয়ে দেখা হবে। তাঁদের বক্তব্যে কোনও অসঙ্গতি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি যে চিকিৎসক কেপিসি হাসপাতালে তরুণীকে মৃত বলে জানিয়েছিলেন তাঁর বয়ানও খতিয়ে দেখা হবে বলেও পুলিশ সূত্রে খবর। এছাড়াও ভিসেরা রিপোর্টেও গোয়েন্দাদের নজর রয়েছে। বিশেষ করে মৃত্যু তরুণীর পাকস্থলিতে অস্বাভাবিক কিছু ছিল না তা এই রিপোর্ট আসলেই আরও স্পষ্ট হবে বলে মনে করছেন আধিকারিকরা। এছাড়াও মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে আরও বেশ কয়েকটি দিকও তদন্তকারীরা দেখছেন বলে জানা যাচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.