Advertisement
Advertisement
Jadavpur University

উপাচার্যকে দেখতে হাসপাতালে ব্রাত্য, পার ডেডলাইন, আন্দোলনের ভবিষ্যৎ স্থির করতে বৈঠকে যাদবপুরের পড়ুয়ারা

যদিও উপাচার্যের অসুস্থতার সত্যতা নিয়ে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।

Jadavpur University students meeting to decide next program

প্রতীকী ছবি।

Published by: Sayani Sen
  • Posted:March 5, 2025 5:06 pm
  • Updated:March 5, 2025 5:30 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার ডেডলাইন পার। আপাতত কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত। এবার কোন পথে এগোবেন আন্দোলনকারীরা? রূপরেখা স্থির করতে চলছে বৈঠক। যদিও উপাচার্যের অসুস্থতার সত্যতা নিয়ে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। এদিকে, উপাচার্যকে দেখতে হাসপাতালে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

Advertisement

গত ১ মার্চ ওয়েবকুপার বার্ষিক সাধারণ সভার দিন ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে সরব বাম ছাত্র সংগঠন। দফায় দফায় স্লোগান, বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পড়ুয়ারা। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। গাড়ির চাকার হাওয়া খুলে দেওয়া হয়। আন্দোলনের জেরে কোমরে চোট পান ব্রাত্য। এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাও হয় তাঁর। এই ঘটনার পর থেকে আন্দোলনের আঁচে পুড়ছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ৪ মার্চের রাত থেকে রাতভর ধরনায় শামিল পড়ুয়ারা। অরবিন্দ ভবনের সামনে বুধবারও ধরনা চলছে। উপাচার্য ভাস্কর গুপ্তকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার ডেডলাইন বেঁধে দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বিরুদ্ধে ‘হিট অ্যান্ড রানে’র মামলা দায়েরের দাবি তুলেছেন তাঁরা। আন্দোলনকারীদের দাবি, ঘটনার দিন ক্যাম্পাসে ছিলেন উপাচার্য। তাই বিকেল চারটের মধ্যে ক্যাম্পাসে এসে উপাচার্যকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। তারই মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়েন উপাচার্য। নাটক করে উপাচার্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলেই দাবি কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীর। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও উপাচার্যের অসুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

এদিকে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অশান্তির জেরে গত সোমবার রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ধর্মঘটের ডাক দেয় বাম ছাত্র সংগঠন। ওইদিন পাঁশকুড়ার বনমালি কলেজ অশান্ত হয়ে ওঠে। বেশ কয়েকজন জখম হন। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের ভূমিকার তীব্র নিন্দা করেন AIDSO নেত্রী সুশ্রীতা সোরেন। তাঁর অভিযোগ, “বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে কেন গিয়েছি, সেই প্রশ্ন করা হয়। জোর করে থানায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। হিন্দি গান চালিয়ে ওসি লাঠি দিয়ে মারধর করেন। লাথি-কিল-চড় মারা হয়। মারতে মারতে লাঠি ভেঙে যায়। হাতের উপর মোম ঢেলে দেওয়া হয়। এমন মেরেছে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছি না।” যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশ ফেরানোর দাবিতে ৩ নম্বর গেট থেকে মিছিল করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের একাংশ। ওই মিছিলে পা মেলান জখম ইন্দ্রানুজের বাবাও।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ