Advertisement
Advertisement

Breaking News

SSC

এখনই ফর্ম ফিলআপ নয়, রিভিউ পিটিশন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চান ‘যোগ্য’ চাকরিহারারা

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে শিক্ষক নিয়োগের জন্য শুক্রবারই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সরকার।

Jobless teachers do no want to fill up form of new notification of recruitment till review petition
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:May 30, 2025 5:39 pm
  • Updated:May 30, 2025 6:42 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে রাজ্য সরকারের তরফে নতুন করে প্রক্রিয়া চালু হল। শুক্রবার, ৩০ মে শূন্যপদ পূরণের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। কিন্তু যাঁরা একবার পরীক্ষা দিয়ে ‘যোগ্যতা’ প্রমাণের পর চাকরি পেয়েছেন, তাঁরা নতুন করে পরীক্ষায় বসতে নারাজ। বরং তাঁদের দাবি, সসম্মানে চাকরিতে পুনর্বহাল করা হোক ‘যোগ্য’ চাকরিহারাদের। তাই শুক্রবার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারির পর স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, পরীক্ষার জন্য ফর্ম ফিলআপ কি করবেন? বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে মোটের উপর তা স্পষ্ট করে দিলেন ‘যোগ্য’ চাকরিহারারা। জানালেন, এখনও তাড়াহুড়ো করে ফর্ম ফিলআপ নয়, রাজ্য সরকারের দায়ের করা রিভিউ পিটিশনের শুনানি আগে হোক। তারপর তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন।

Advertisement

বৃহস্পতিবার রাতে নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পর শুক্রবার সকাল থেকেই প্রতিবাদ মিছিলের প্রস্তুতি নেন চাকরিহারা ‘যোগ্য’ শিক্ষকরা। শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরে জমায়েত করে নবান্নমুখী মিছিল করার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু পুলিশ শিয়ালদহেই তাঁদের আটকে দেয়। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় ধরপাকড় চলে। দিনভর তাঁদের বিক্ষোভ চলে। শিক্ষকদের উপর পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগও উঠেছে। এর প্রতিবাদে রবিবার রাজ্যজুড়ে ধিক্কার মিছিলের ডাক দিয়েছেন চাকরিহারা শিক্ষকরা।

শিয়ালদহে প্রতিবাদী ‘শিক্ষক’দের ধরপাকড়। নিজস্ব চিত্র।

এরপর বিকেলে সল্টলেকে বিকাশ ভবনের সামনে থেকে ‘যোগ্য’ চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের সদস্য মেহবুব মণ্ডলরা সাংবপাদিকদের মুখোমুখি হন। স্পষ্ট জানান, ”আমরা এক পরীক্ষার জন্য দু’বার পরীক্ষা দেব কেন? নতুন পরীক্ষার জন্য সময় অনেক কম। যারা নতুন করে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, তাদের জন্য হয়ত সহজ হবে। কিন্তু আমাদের এখন মানসিক অবস্থা ভালো নয়। সময় কম। অনেকের পরিবারই সমস্যার মধ্যে রয়েছে। তাদের কাছে আবার নতুন করে পরীক্ষা দেওয়া অতটা সহজ নয়।”

নতুন বিজ্ঞপ্তিতে অভিজ্ঞতার জন্য বাড়তি নম্বরের কথা উল্লেখ রয়েছে, যা আপত্তিজনক বলে মনে করছেন চাকরিহারারা। এনিয়ে মেহবুব মণ্ডলের বক্তব্য, ”এক্সপিরিয়েন্সে ১০। এটা দিয়ে সরকার মনে করছে, আমাদের সুরাহা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু না, এটা শুধু আমদের জন্য না। যাদেরই টিচিং-এর অভিজ্ঞতা আছে তাদের সবার জন্য। এই যে বলেছে নবম, দশম ও একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ানোর ক্ষেত্রে বাড়তি সুযোগ, এটা তো আরও দ্বিচারিতা। এখানে সবার কথাই বলা হচ্ছে। টিচিং অভিজ্ঞতা যাদের আছে সবার কথাই বলা হচ্ছে। ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে।”

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement