সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের তৃণমূল সাংসদের মন্তব্যে বিতর্ক। বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেছিলেন, “ছাত্রীদের কোলে বসিয়ে পাশ করিয়ে দেওয়ার একটা চল ছিল।” তাঁর এহেন মন্তব্য ঘিরে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়। সমালোচনায় সরব হয় ইন্ডিয়ান সাইকিয়াট্রিক সোসাইটি। এমনকী, কাকলির সদস্যপদ বাতিলের দাবিও জানায়। যদিও পরে নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন কাকলি।
ঠিক কী বলেছিলেন কাকলি?
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে এক আলোচনাচক্রে অংশ নিয়েছিলেন কাকলি। সেখানে তিনি বলেন, “ছাত্রীদের কোলে বসিয়ে পাশ করিয়ে দেওয়ার একটা চল শুরু হয়েছিল। যার আমি তীব্র নিন্দা করি, ঘৃণা করি।” সাংসদের আরও সংযোজন, “আমার ছেলেরা নিন্দা করেছিল বলে তাদের কম নম্বর দেওয়া হয়েছিল। তারা আজ প্রথিতযশা চিকিৎসক।” বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে হতাশ কাকলির কথায়,”কোলে বসিয়ে পাশ করিয়ে দেওয়ার চলটা যে এখানে এসে দাঁড়াবে, উৎকোচ নিয়ে পাশ করানো হবে, কিংবা কেউ মুখ খোলার সাহস দেখালে যে তার থিসিস আটকে দেওয়া হবে, এমনটা আমি ভাবতে পারিনি।” উল্লেখ্য, তৃণমূল সাংসদও আর জি করের প্রাক্তনী।
তৃণমূল সাংসদের এহেন মন্তব্যের পরই ফুঁসে ওঠে ইন্ডিয়ান সাইকিয়াট্রিক সোসাইটি। প্রতিবাদে সরব হয়ে তাদের বিবৃতি, “কাকলির মন্তব্য অসম্মানজনক এবং নিন্দনীয়। মহিলা চিকিৎসকদের যোগ্যতা ও পরিশ্রমকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দেয়।” ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন থেকে বহিষ্কারের দাবিও জানান। সাংসদের মন্তব্য প্রত্যাহারের পাশাপাশি নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে বলেও দাবি জানায় তারা।
সমালোচনার মুখে ক্ষমা চেয়ে নেন কাকলি। বলেন, “নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইছি। কারও আঘাত লেগে থাকলে আমি দুঃখিত। আমার মন্তব্য প্রত্যাহার করছি। আমি সবসময়েই মেয়েদের সুরক্ষা এবং অধিকার রক্ষার পক্ষেই কথা বলি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.