Advertisement
Advertisement
Kasba Case

কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডে ভুয়ো তথ্য ছড়ালেই ব্যবস্থা, কড়া বার্তা পুলিশের

১ জুলাই পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে তিন অভিযুক্ত।

Kasba Case: Police to take strict action for spreading wrong information
Published by: Sayani Sen
  • Posted:June 27, 2025 4:18 pm
  • Updated:June 27, 2025 7:15 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলকাতার কলেজে ছাত্রীর গণধর্ষণ কাণ্ডে (Kasba Case) ভুয়ো তথ্য রটালেই ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। ডিসিপি যাদবপুর ডিভিশন কলকাতার অফিসিয়াল X হ্যান্ডেলে এই মর্মে আগাম সতর্কতা জারি করা হয়েছে। অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, “আইন কলেজের ছাত্রীর তরফে যৌন হেনস্তার অভিযোগ পাওয়ামাত্রই ব্যবস্থা নিয়েছে কসবা থানার পুলিশ। বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে এফআইআর দায়ের হয়েছে। মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের ১ জুলাই পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গুরুত্ব বিবেচনা করে অত্যন্ত দক্ষতা এবং সংবেদনশীলতার সঙ্গে এই ঘটনার তদন্ত চলছে।” পুলিশের আর্জি, “প্রত্যেক ব্যক্তি এবং সোশাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের বলা হচ্ছে, যাচাই না করে ভুয়ো তথ্য প্রচার করবেন না। তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

উল্লেখ্য, দক্ষিণ কলকাতার একটি ল কলেজে গত বুধবার এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। অভিযোগকারিণী ওই কলেজেরই ছাত্রী। ওই দিন সন্ধ্যায় তাঁকে ডাকা হয়েছিল। অভিযোগ, তিনি সেখানে গেলে তাঁর উপর চড়াও হন তিনজন। গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। কাউকে কিছু না বলতে হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরে ওই ছাত্রী কসবা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়েই নড়েচড়ে বসেন পুলিশ আধিকারিকরা। প্রথমে দু’জনকে পাকড়াও করে জিজ্ঞাসাবাদ চলে। তাঁদের থেকেই মূল অভিযুক্তের খোঁজ পাওয়া যায়। কালবিলম্ব না করে মূল অভিযুক্তকেও গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের মধ্যে একজন বর্তমান ছাত্র ও দু’জন প্রাক্তনী।

এই ঘটনায় ফুঁসছেন তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর মতে, যারা যুক্ত তাদের মেরে পিঠের চামড়া গুটিয়ে দেওয়া উচিত। পাশাপাশি তিনি এও স্পষ্ট করে দেন যে তৃণমূল কোনওভাবেই এসব ‘বাঁদরামি বরদাস্ত করবে না’।

এই ঘটনায় বিক্ষোভে শামিল বিজেপি। কসবা থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় AIDSO এবং গেরুয়া শিবিরের কর্মী-সমর্থকরা। দক্ষিণ কলকাতার ওই আইন কলেজের সামনে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস। এদিকে, এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিতভাবে রিপোর্ট তলব করেছে জাতীয় মহিলা কমিশন। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কলকাতার নগরপালকে ঘটনা সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement