Advertisement
Advertisement
Kolkata

তুমুল সাংসারিক অশান্তি, চারদিন ধরে উধাও হাওড়ার চিকিৎসক, চেম্বারে বসে রোগীরা

চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছে স্ত্রীর।

Kolkata: Doctor did not came back home after quarrel with wife | Sangbad Pratidin
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:January 1, 2021 9:12 pm
  • Updated:January 1, 2021 9:12 pm   

অভিরূপ দাস: স্বামী-স্ত্রীতে অশান্তি। মনোমালিন্য। মোবাইল, মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়েছেন গিন্নি! অভিমানে নিরুদ্দেশ হয়ে গেলেন চিকিৎসক কর্তা। এক-দুই নয়, টানা চারদিন ধরে বেপাত্তা হাওড়া কদমতলার চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. পার্থপ্রতীম সিনহা। ২৯ ডিসেম্বর চেম্বার থেকে বেরিয়ে ড্রাইভারকে বলেছিলেন, “তুমি বাড়ি যাও। আমি ব্যাংক থেকে আসছি।” তারপর থেকে আর তাঁর কোনও খোঁজ নেই। কেটে গিয়েছে ৯৬ ঘণ্টা।

Advertisement

২৯ তারিখ সকালেই কর্তা গিন্নিতে একপ্রস্থ কথা কাটাকাটি হয়। “সারাদিন কী এত মোবাইল (Smartphone) নিয়ে ব্যস্ত থাকো।” মুখ ঝামটা দিয়েই স্মার্টফোনটি কেড়ে নেন স্ত্রী। কর্তা নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়ায় তাঁর অনুশোচনা, “ইশশ… মোবাইলটা না কেড়ে নিলেই হত। অন্তত ফোন করে তো জানতে পারতাম ও কোথায়।” হাওড়া কদমতলার চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. পার্থপ্রতীম সিনহার পথ চেয়ে তাঁর পরিবার।
ইতিমধ্যেই ব্যাঁটরা থানায় নিখোঁজ স্বামীর নামে মিসিং ডায়েরি করেছেন তাঁর স্ত্রী। বারবার পুলিশকে হারানো স্বামীকে খুঁজে দিতে অনুরোধ করায় জবাব এসেছে “মোবাইল নম্বর বলুন। তাহলে আমরা নম্বরটা ট্র‍্যাক করি।” কিন্তু ওটাই তো সঙ্গে নেই।

[আরও পড়ুন: সল্টলেক কঙ্কাল কাণ্ডে নয়া মোড়, দাদাকে জীবন্ত পুড়িয়ে খুনে মাকে সাহায্য করায় গ্রেপ্তার বোনও]

হাওড়া কদমতলা এলাকার এই চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ চোখের অস্ত্রোপচারও করেন। গত চারদিন ধরে ডাক্তার উধাও হয়ে যাওয়ায় বেকায়দায় পড়েছেন রোগীরাও। ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত তাঁর প্রতিদিন পাঁচটি করে ওটি ছিল। ডাক্তার না থাকায় অস্ত্রোপচার শিকেয়। চোখের অস্ত্রোপচার করাতে এসে রোগীরা শুনছেন ডাক্তার নেই।

আচমকা কোথায় গেলেন চিকিৎসক? চিকিৎসকের স্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁদের দুই মেয়ে। একজন একাদশ অন্যজন নবম শ্রেণিতে পড়ে। মেয়েদের পড়াশোনা নিয়ে প্রায়ই কর্তা গিন্নিতে ঝগড়াঝাটি হত। চিকিৎসক নিরুদ্দেশ হওয়ার দিন সকালে তা নিয়েই মনোমালিন্য হয়েছিল। সেদিনই চেম্বার থেকে ফেরার সময় গাড়ির ড্রাইভারকে বলেছিলেন, “তুমি যাও আমি আসছি।” তারপর চারদিন কেটে গেলেও কোনও খোঁজ মেলেনি। নিঁখোজ চিকিৎসকের স্ত্রী রেশমী সিনহার কথায়, “হাতে টাকা পয়সা নেই ওর। পকেটে পাঁচশো টাকা দিয়েছিলাম। তা নিয়ে চারদিন ধরে কি খাচ্ছে ভগবান জানে। মোবাইল না থাকায় কোনওরকম যোগাযোগ করা যাচ্ছে না ওর সঙ্গে। মোবাইলটা আমি কেড়ে নিয়ে আরও বিপদ করেছি। পুলিশ বলছে মোবাইলটা থাকলে অন্তত লোকেশন দেখে খোঁজ করা যেত।” চারদিন ধরে চিকিৎসক বাড়ি না ফেরায় মাথা খারাপ হওয়ার জোগার পরিবারের। স্ত্রী জানিয়েছেন, “আমি গঙ্গার ঘাটেও বার তিনেক খুঁজে এসেছি। বলা যায় না রাগ টাগ করে..।”

[আরও পড়ুন: শাসকদলে ভাঙন, আস্থা প্রমাণে বিধানসভা অধিবেশন ডাকার দাবিতে চিঠি মান্নান-সুজনের]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ