ছবি: শুভজিৎ মুখোপাধ্যায়
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুজোর বাকি এখনও দশ দিনেরও বেশি। অলিগলি থেকে বনেদি বাড়ির ঠাকুরদালান – সর্বত্র জোরকদমে চলছে পুজো প্রস্তুতি। ট্যাংরার শীল লেনের দাস বাড়ির ছবি একেবারেই অন্যরকম। ঢাকের তাল, মন্ত্রপাঠের মাধ্যমে শুরু দুর্গা আরাধনা। কারণ, এই বাড়িতে পৌরাণিক প্রথা মেনে আদ্রা নক্ষত্রে শুরু হয়ে গিয়েছে পুজো। চলবে শুক্লা নবমী পর্যন্ত। মেতে উঠেছেন পরিবারের সদস্যরা।
পরিবারের ছেলে প্রসেনজিৎ দাস পুজো করেন। তাঁর দিদি মৌমিতা পেশায় চিকিৎসক। ভারতীয় সনাতন সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে মরিয়া দুই ভাইবোন। তাঁদের অত্যন্ত ঝোঁক রয়েছে পূজার্চনায়। সে কারণে পুরাণ, বেদ, উপনিষদ পড়তে শুরু করেন। সেই অনুযায়ী পুজো করেন তাঁরা। রাধাকৃষ্ণের ঘরের পাশেই হয় দেবী আরাধনা। এখানে দেবী পূজিতা হন কন্যা হিসাবে। ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় আমন্ত্রণ অধিবাস। সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত মহাপুজো। সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত চালকুমড়ো বলি হয়। বলির সময় দেবীপ্রতিমার সামনে কাউকে বসতে দেওয়া হয় না। সেই সময় দেবী রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন। অষ্টমীতে অন্নভোগ হয় না। নবমীতে কুমারী পুজো হয়। দশমীতে পান্তা ও কচুর লতি দেওয়া হয় দেবীকে। তারপরই মনভার করা বিদায়ের পালা।
বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা সদস্যরা ট্যাংরার শীল লেনের দাস বাড়িতে জড়ো হন। এই কটাদিন আনন্দে মেতে ওঠেন তাঁরা। নিজে হাতে ভোগ রান্না করেন পরিবারের মহিলা সদস্যরা। কোমর বেঁধে কাজ করেন পুরুষ সদস্যরাও।
পুত্রবধূ রিমা দাস বলেন, “কৃষ্ণ নবমী থেকে পুজোর শুরু যেন বাড়তি পাওনা। মেয়ে হিসাবে দেবীর আরাধনা হয় এই বাড়িতে। আমরা নিজেরা যেমন খাওয়াদাওয়া করি। তেমনই দেবীকে ভোগ দেওয়া হয়। দেবীর শয্যারও বন্দোবস্ত করা হয়। সকালে জাগিয়ে মুখ ধোয়ার জলের বন্দোবস্তও করা হয়।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.