শুভঙ্কর পাত্র: থিকথিকে ভিড়। মেট্রোর অপেক্ষায় চাতক পাখির দশা! এলেও ভিড়ে দমবন্ধ অবস্থা যাত্রীদের। এবার সমস্যা বাড়াল মেট্রোর ঘড়িও। কয়েকদিন যাবৎ ‘টাইমলেস’ মেট্রোর ব্লু লাইন। সময় দেখা গেলেও, পরবর্তী মেট্রো কখন জানা যাচ্ছে না। যাত্রীদের সহায় মেট্রোর আলো ও শব্দ।
দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ ব্লু লাইনের যাত্রীদের অভিযোগ, দুর্ভোগ শুরু কবি সুভাষ স্টেশন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকে। তারপর থেকে শহিদ ক্ষুদিরামকে প্রান্তিক স্টেশন করে ধুঁকে ধুঁকে চলছে মেট্রো। তার মধ্যেই তিনটি নতুন রুটের সূচনা। পরিষেবার উন্নতি আশা করেছিলেন যাত্রীরা। কোথায় কী! এ যেন হিতে বিপরীত!

এদিকে আবার এখন সব মেট্রো রেক শহিদ ক্ষুদিরাম পর্যন্তও যাবে না জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। অনেক মেট্রোই টালিগঞ্জ স্টেশনে গিয়ে যাত্রা শেষ করছে। সেই সিদ্ধান্তের কথা দুম করেই যাত্রীরা সওয়ারি থাকা অবস্থায় জানতে পারছেন বলে অভিযোগ। তার মধ্যে দিন কয়েক আগে দেখা গেল, কখন মেট্রো আসবে সেই ঘড়ির কাঁটা বন্ধ। তা আজ, রবিবারেও ঠিক হয়নি। যাত্রীদের অভিযোগ, ঠিক সময়ে মেট্রো চালাতে না পেরে, সময়ই দেখানো বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে আধিকারিকদের বক্তব্য, সমস্যা তাঁদের নজরে এসেছে। ঘড়ি ঠিক করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। কিন্তু যাত্রী ভোগান্তি নিয়ে কিছু বলতে নারাজ তাঁরা।

পুজোর মরশুমে শহরে ভিড় বাড়ছে। দেবীর বোধনের বাকি হাতেগোনা কয়েকদিন। শহরতলি থেকে অনেকেই আসছেন কেনাকাটা করতে। ফলে বাড়ছে যাত্রী সংখ্যা। অফিস টাইমের ভিড় তো আছেই। তার মধ্যে মেট্রোর খামখেয়ালিতে তিতিবিরক্ত নিত্যযাত্রীরা। শ্যামবাজার থেকে চাঁদনি চক পর্যন্ত প্রতিদিনের যাত্রী আবীর ঘোষ বললেন, “মেট্রো সময় মতো আসছে না। অফিস টাইমে ২০ মিনিটও দেরিতে মেট্রো পেয়েছি। এখনতো দেখছি টাইম দেখানো বন্ধ করেছে। আমি জানি না পরবর্তী মেট্রো কখন। আমার মনে হয় এটা নতুন পলিসি। সময় দেখা না গেলে মেট্রো দেরিতে চলার অভিযোগও করা যাবে না। এমনটাই যদি ভাবা হয়ে থাকে তাহলে তা ভয়ংকর।” আরেক নিত্যযাত্রী বলেন সুহৃদ দাস বলেন, “মেট্রোর সময়ের কোনও ঠিক নেই। রাতের দিকে আরও ভয়াবহ অবস্থা। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এখন তো দেখছি সময় দেখানো বন্ধ করেছে। মেট্রো সময় মতো চলছে না। তা সেই অপদার্থতা ঢাকতেই কি নতুন পরিকল্পনা?”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.