অর্ণব আইচ: শহরের কোথাও যেন খোলা তার অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে না থাকে। পুজোর আগে বুধবার বৈঠক করে প্রত্যেকটি থানার ওসিকে নির্দেশ দিলেন লালবাজারের কর্তারা। সেইমতো পুজোর আগেই প্রতিটি থানা এলাকায় খোলা তারের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করলেন পুলিশ আধিকারিকরা। কোনও ল্যাম্পপোস্ট যাতে কেউ তড়িদাহত না হন, সেই ব্যাপারেও নজর পুলিশের। তার জন্য সিইএসসি-র সঙ্গে আলোচনা করছে লালবাজার।
মঙ্গলবার সকালে শহরে জমা জলে খোলা তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অন্তত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। পুজোর কয়েকটা দিন ফের শহরে বৃষ্টির সম্ভাবনা। ফের যাতে বৃষ্টিতে বিপর্যয় না হয়, তাই তৎপর পুলিশ। পুজোয় প্রত্যেক পুলিশকর্মী ও আধিকারিককে রেনকোট ও পর্যাপ্ত ছাতা নিয়ে ডিউটি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার, তৃতীয়ার রাত থেকেই ভিড় সামলাতে তিলোত্তমার পথে নামছে পুলিশ। পুজোয় যদি বৃষ্টিতে জল জমে, তা তাড়াতাড়ি সরানোর জন্য ওয়ার্ড স্তরে পুরসভার সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে থানাগুলির তরফে। কীভাবে যান চলাচল ঘুরিয়ে দেওয়া হবে, তার জন্য স্ট্র্যাটেজি তৈরি করছে ট্রাফিক পুলিশ। পুজোয় যান চলাচল মসৃণ রাখতে ফুটপাথের বাইরেও রাস্তার একধারে পথচারী তথা পুজোর দর্শনার্থীদের যাতায়াতের জন্য তৈরি হয়েছে বিশেষ ব্যারিকেড।
লালবাজারের কর্তারা ওসিদের জানিয়েছেন, যেহেতু বাইরে থেকে বহু মানুষ আসছেন কলকাতার পুজো দেখতে, তাঁদের নিরাপত্তার উপর গুরুত্ব দিতে হবে। মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য বেশিরভাগ পিকেটে থাকবেন মহিলা পুলিশকর্মীরা। শহর জুড়ে টহল দেবে মহিলা টিম ‘উইনার্স’। শহরে ৬০টির উপর ওয়াচ টাওয়ার থেকে পুলিশ নজরদারি রাখবে। শুধু পুজো উপলক্ষে লালবাজার ও পুজো উদ্যোক্তাদের পক্ষে কয়েকশো সিসিটিভি বসানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.