Advertisement
Advertisement

গঙ্গাপাড়ে ১ মিনিটে কুড়ি হাজার গাছ পুঁতবে কলকাতা পুলিশ!

চাঁদা তুলে বনদপ্তর থেকে কেনা হবে গাছ ।

Kolkata Police to plant 30 thousand saplings
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:January 22, 2019 11:36 am
  • Updated:January 22, 2019 11:45 am   

অর্ণব আইচ:  সময় মাত্র এক মিনিট। সবুজে সবুজ হবে গঙ্গার পাড়। আসবে আরও পাখি। ভাঙন রোধ হবে গঙ্গার। নদীর পার বরাবর টানা ৪০ কিমি এলাকা মাত্র ১ মিনিটে ২০ হাজার গাছ লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুলিশের রিভার ট্রাফিক বিভাগ। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বনদপ্তরও।

Advertisement

[ বই কিনলেই লাইব্রেরির মালিক! চমক বইমেলায়]

কলকাতার গঙ্গার দু’পাশেও ভাঙন রোধে এগিয়ে এসেছে পুলিশ। ভাঙন রোধের জন্য প্রথমেই প্রয়োজন গাছ লাগানো। কলকাতা পুলিশের রিভার ট্রাফিক বা জলপুলিশের অধীনে ৪০ কিমি এলাকা জুড়ে রয়েছে গঙ্গার পাড়। দু’দিকের পাড় মিলিয়ে হয় ৮০ কিলোমিটার এলাকা। ওই ৮০ কিলোমিটার জুড়েই গাছ লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুলিশ। এমন গাছ, যা জলের ধারেকাছেও বাঁচতে পারবে। লালবাজার সূত্রে খবর, সেই কারণেই বন দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ইডেন গার্ডেন্সে গিয়ে বনদপ্তর আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনাও করেন পুলিশ আধিকারিকরা। কারণ, একসঙ্গে ২০ হাজার গাছ বন দপ্তরের পক্ষেই দেওয়া সম্ভব। যদিও পুলিশের দাবি, একেবারে বিনামূল্যে সেই গাছ নেওয়া হবে না। কিছু গাছ বন দপ্তর বিনামূল্যে দিতে আগ্রহী হলেও, বাকি গাছ কিনবে পুলিশ। গাছ পিছু ২ টাকা করে বন দপ্তরকে দেওয়া হবে। তবে সরকারি কোষাগার থেকে নয়, টাকা দেওয়া হবে চাঁদা তুলে। কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা যেমন চাঁদা দেবেন, তেমনি শহরের বিভিন্ন ক্লাব, শহরবাসীদের কাছে থেকেও আর্থিক সাহায্য নেওয়া হবে।

একটি সমীক্ষা রিপোর্ট থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে, কলকাতার গঙ্গার জলে ১১ থেকে ১৩ শতাংশ পর্যন্ত লবণ রয়েছে। তাই গঙ্গার দুই পাড় ধরে বেশি সংখ্যার ম্যানগ্রোভ গাছ লাগানো যায় কি না, সেই বিষয়ে আলোচনাও হয়। বনদপ্তর সূত্রে অবশ্য জানা গিয়েছে, গঙ্গার জোয়ারের ফলে জল যে জায়গা পর্যন্ত পৌঁছে যায়, সেখানে লাগানো যেতে পারে ম্যানগ্রোভ গাছ। কিন্তু গঙ্গার পাড়ে অনেক জায়গায় জোয়ারের জল পৌঁছয় না। সেখানে লাগানো হবে অন্যান্য বিভিন্ন রকমের গাছ। বন দপ্তরের এক আধিকারিক জানান, ওই জায়গাগুলিতে জারুল ও অর্জুন গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। লাগানো হবে প্রচুর ফলের গাছও। জাম, নিম, তেঁতুল, কাঁঠাল, চালতা গাছ লাগালে প্রচুর সংখ্যক পাখি আসবে। বন দপ্তরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, শহরের পাখির সংখ্যা বাড়ানোর জন্যই এই ধরনের কাজ লাগানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। এমনকী, রোপনের পর যদি কোনও গাছ মরে যায় কিংবা নষ্ট হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে ফের ওই জায়গায় নতুন গাছ পোঁতা হবে বলেও জানা গিয়েছে। 

[ পদচিহ্ন, পাণ্ডুলিপি নিয়ে প্রথম চৈতন্য সংগ্রহশালা শহরে]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ