সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যেন সাক্ষাৎ দেবদূত। জলমগ্ন শহর। কোথাও গাড়িঘোড়া নেই, খাবার নেই, এমনকী পানীয় জলও দুস্প্রাপ্য। এই পরিস্থিতিতে আটকে পড়া প্রায় ৫০ জন স্কুলপড়ুয়াকে ত্রাতার মতো রক্ষা করলেন তিলজলা ট্রাফিক গার্ডের ওসি সুরজিৎ পাল ও কর্মরত ট্রাফিক পুলিশের আধিকারিকরা।
মঙ্গলবার সকালে বৃষ্টি মাথায় নিয়েই বেলুড় গার্লস স্কুলের জনা পঞ্চাশেক পড়ুয়াকে নিয়ে শিক্ষিকারা এসেছিলেন একটি সেমিনারে যোগ দিতে। বিকেলে ফেরার সময় আচমকা তাঁদের গাড়ি খারাপ হয়। অথৈ জলে পড়ে শিক্ষিকারা যোগাযোগ করেন লালবাজারে। সেখান থেকে ফোন যায় তিলজলা ট্রাফিক গার্ডে। স্কুলছাত্রীদের দুর্দশার কথা জেনে দ্রুত পদক্ষেপ করেন তিলজলা ট্রাফিক গার্ডের ওসি সুরজিৎ পাল। দ্রুত তিনি দুই সার্জেন এবং কয়েকজন পুলিশকর্মীকে পাঠিয়ে আটকে থাকা পড়ুয়াদের তিলজলা ট্রাফিক গার্ডে আনানোর ব্যবস্থা করেন।
দীর্ঘক্ষণ মাঝরাস্তায় আটকে থাকা পড়ুয়ারা যেন প্রাণ ফিরে পায়। ট্রাফিক গার্ডের টয়লেট খুলে দেওয়া হয় পড়ুয়াদের জন্য। তাদের জন্য জল ও শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করেন ওসি সুরজিৎ পাল। পরে তাঁর উদ্যোগেই সিটি সার্ভিসের একটি বড় বাসের ব্যবস্থা করে ওই পড়ুয়াদের বাড়ি পাঠানো হয়। সুরজিৎ বাবু বলছিলেন, “খবর পেয়েই আমি ওদের ট্রাফিক গার্ডে আনায়। এখানে যতটা সম্ভব ওদের জন্য জল-খাবার এবং ন্যূনতম সুবিধার ব্যবস্থা করি। পরে সিটি সার্ভিসের বাসের ব্যবস্থা করে আমার দুজন আধিকারিককে সঙ্গে পাঠাই।”
মানুষের বিপদে আপদে ঝাঁপিয়ে প্রাণরক্ষা, প্রতিনিয়ত শহরবাসীর নিরাপত্তায় নজরদারি। কলকাতা পুলিশ সবসময় কর্তব্যে অবিচল। নাগরিকরা বিপদে পড়লে পুলিশ যে মানবিকতার খাতিরে কর্তব্যের বাইরে গিয়েও পাশে থাকে সেটা এদিন বুঝতে পরেছেন বেলুড় গার্লস স্কুলের পড়ুয়া ও শিক্ষিকারা। এক শিক্ষিকা বাড়ি ফেরার পথে সন্তোষের সুরে বলছিলেন, “কলকাতা পুলিশ যে কী, সেটা এতদিনে বুঝতে পারলাম!”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.