সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বামী, ছেলে নিয়ে সংসার ছিলই। সংসারের কাজ সামলে প্রথম প্রথম দু’দণ্ড নেটদুনিয়ায় নজর রাখতেন। তারই ফাঁকে কোনও একদিন কোচবিহারের যুবক পরিতোষ মণ্ডলের সঙ্গে বন্ধুত্ব তৈরি হয়। তারপর থেকে দিনের বেশিরভাগ সময়ই কেটে যেত নেটদুনিয়ার ব্যস্ততায়। এভাবেই পরিতোষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। পরিতোষ জানতে পারেন ওই মহিলা বেহালার (Behala) শিশিরবাগানের বাসিন্দা। প্রেমের টানে কোচবিহার থেকে কলকাতায় দৌড়ে আসেন তিনি। তারপর যা হল, তা যেকোনও সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানায়।
বেহালার শিশিরবাগানের বাসিন্দা সোমা দাসের বহু বছর আগে বিয়ে হয়েছে। প্রতিবেশীদের দাবি, স্বামী মনোজিৎ দাস মাটির মানুষ। কোনও কিছুতেই কখনও বাধা দেন না তিনি। তার ফলে দাম্পত্য সম্পর্ক দিব্যি চলছিল। বছর ষোলোর এক পুত্রসন্তানও রয়েছে দু’জনের। একদিন আচমকাই সেই সংসারে এসে হাজির হন কোচবিহারের পরিতোষ মণ্ডল। তারপরই স্বামী জানতে পারেন সোমা এবং পরিতোষের ঘনিষ্ঠতার কথা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই কৌশিকি অমাবস্যার দিন বাড়ির পাশে মন্দিরে যান সোমা এবং পরিতোষ। সেখানেই দ্বিতীয়বার বিয়েও করেন সোমা।
বাড়ি ফিরে আসার পর সোমার দ্বিতীয়বার বিয়ের কথা জানতে পারেন তার প্রথম স্বামী মনোজিৎ। জোর করে পরিতোষকে সঙ্গে নিয়ে মনোজিতের বাড়িতেই থাকতে শুরু করে সোমা। অভিযোগ, শুধু থাকাই নয় স্বামীর উপর ক্রমাগত অত্যাচার করত সে। খেতে না দেওয়া, মারধরের মতো ঘটনা লেগেই থাকত বলেও অভিযোগ। শান্ত স্বভাবের হওয়ায় মনোজিৎ কিছুই করতে পারতেন না। তবে প্রথম স্বামী থাকা সত্ত্বেও দ্বিতীয়বার বিয়ে এবং প্রথম স্বামীর বাড়িতেই প্রেমিকের সঙ্গে সহবাসের বিষয়টি নজর এড়ায়নি প্রতিবেশীদের। প্রতিবেশীরা সোমা এবং পরিতোষের অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। সোমার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। এরপরই শনিবার সকালে সোমা এবং তার পরিতোষকে আটক করে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.