সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ত্রিপুরার তৃণমূল কার্যালয় ভাঙচুর নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্য-রাজনীতি। বুধবার সকালেই ত্রিপুরার উদ্দেশে রওনা দিল তৃৃণমূলের ৫ সদস্যেদর প্রতিনিধি দল। যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বিজেপিকে একহাত নিলেন তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। ত্রিপুরার আগের কথা মনে করিয়ে বললেন, “আমাদের নেতা-নেত্রীদের উপর হামলা হয়েছে। অভিষেকের গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। অতীতে অভিজ্ঞতাও ভয়ংকর। এখনও নানারকমভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।” এবার ফের হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। এরপরই প্রতিনিধি দলে থাকা সায়নী ঘোষ বললেন, “এভাব দমিয়ে দেওয়া যাবে না। ত্রিপুরার কর্মীদের পাশে তাঁরা ছিলেন, আছেন থাকবেন।”
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার। ওইদিন আগরতলার তৃণমূল কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতীরা। রীতিমতো লাঠি নিয়ে হামলা করা হয়। ছেঁড়া হয় তৃণমূলের পতাকা, ফ্লেক্স। কার্যালয়ের সামনে পড়ে থাকতে দেখা যায় সেগুলি। অভিযোগ, পুলিশ বাধা দিলেও কোনও লাভ হয়নি। তৃণমূলের দাবি, এই হামলার নেপথ্যে বিজেপি। এক্স হ্যান্ডেলে এই হামলার প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠে শাসকদল। তৃণমূলের তরফে লেখা হয়, ‘সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের ত্রিপুরা কার্যালয়ে বিজেপি-সমর্থিত দুষ্কৃতীদের নৃশংস হামলা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটা গণতন্ত্রের উপর সরাসরি আঘাত। ক্ষমতাসীনরা যখন তাঁদের বিরোধীদের স্তব্ধ করতে হিংসাকে হাতিয়ার করছে, তখন তারা শক্তি নয়, নিজেদের ভয় ও নৈতিক দেউলিয়াকেই প্রকাশ করছে।’
মঙ্গলবারই ত্রিপুরায় প্রতিনিধি দল পাঠানোর কথা জানিয়েছিল তৃণমূল। পরিকল্পনামাফিক এদিন সকালে রওনা দেন কুণাল ঘোষ, সায়নী ঘোষ, সুদীপ রাহা-সহ পাঁচজন। বিমানবন্দর থেকেও বিজেপিকেই নিশানা করলেন তাঁরা। বুঝিয়ে দিলেন পরিকল্পনা মাফিক যে অত্যাচার করে চলেছে বিজেপি, তাতে তৃণমূলের কণ্ঠরোধ করা যাবে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.