Advertisement
Advertisement
Kunal Ghosh

‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নকল করতে গিয়ে…’, মহারাষ্ট্রের ‘লড়কি-বহিন’ প্রকল্প দুর্নীতিকে কটাক্ষ কুণালের

আর্থিক কেলেঙ্কারির অঙ্কটা ২১ কোটি ৪৪ লক্ষ।

Kunal Ghosh slams Maharshtra Govt for alleged scam in women related financial programme
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:July 27, 2025 8:14 pm
  • Updated:July 27, 2025 8:17 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে মহিলাদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে বাংলার ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের আদলে চালু হয়েছে ‘লড়কি বহিন’ প্রকল্প। তাতে ২১ থেকে ৬৫ বছরের মহিলাদের মাসে দেড় হাজার টাকা করে দেয় মহারাষ্ট্রে বিজেপি-শিবসেনা(শিণ্ডে শিবির)-এনসিপি (অজিত পওয়ার শিবির) সরকার। কিন্তু মহিলাদের সমর্থন পেতে সেই প্রকল্পে ঘোর দুর্নীতি এবার প্রকাশ্যে চলে এল। তা নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় মহারাষ্ট্র সরকারকে বিঁধলেন এ রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর মন্তব্য, ‘মহারাষ্ট্রে বিরাট কেলেঙ্কারি। বাংলার ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ নকল করতে গিয়ে ধরা পড়ল, 14,000 পুরুষ কারচুপি করে নাম নথিভুক্তির মাধ্যমে বিপুল টাকা সরিয়েছে।’ পাশাপাশি সিবিআই তদন্তের দাবিও তুলেছেন তিনি।

Advertisement

২০২৪ সালের জুন মাস থেকে মহারাষ্ট্রের মহাজুটি সরকার ‘মাঝি লড়কি বহিন’ প্রকল্প শুরু করে। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই এমন জনমুখী প্রকল্পের বিরাট দুর্নীতি প্রকাশ্যে এল। সম্প্রতি মহিলা এবং শিশুকল্যাণ দপ্তরের অডিটে দেখা গিয়েছে, ১৪ হাজার ২৯৮জন ‘পুরুষ’ এই ‘লড়কি বহিন’ প্রকল্পের টাকা পেয়েছেন। সবমিলিয়ে অঙ্কটা ২১ কোটি ৪৪ লক্ষ। জানা গিয়েছে, আবেদনের পোর্টালে নিজেদের ‘মহিলা’ বলে নথিভুক্ত করিয়েছিলেন এই ১৪ হাজারেরও বেশি ব্যক্তি। তবে কি যথাযথভাবে নথি যাচাই না করেই টাকা দেওয়া শুরু হয়েছিল? এই প্রশ্ন উঠছে। এনিয়ে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পওয়ার জানিয়েছেন, “দরিদ্র মহিলাদের সাহায্য করতে এই প্রকল্প শুরু হয়েছিল। পুরুষরা কোনও মতেই সুবিধা পাবেন না। তাঁরা যা অর্থ পেয়েছেন সেটা ফেরত দিতে হবে।”

কিন্তু এত বড় দুর্নীতির শিকড় কী? তা জানতে সিবিআই তদন্তের দাবি করলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। ফেসবুক পোস্টে তাঁর খোঁচা, ‘মহারাষ্ট্রে বিরাট কেলেঙ্কারি। বাংলার ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ নকল করতে গিয়ে ধরা পড়ল, 14,000 পুরুষ কারচুপি করে নাম নথিভুক্তির মাধ্যমে বিপুল টাকা সরিয়েছে।’ তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রথম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেছিলেন। তখন এরা সব হইহই করল। এরপর যখন দেখল, এটা দরকার। তারপর নিজেদের রাজ্যে করল। ১৪ হাজার পুরুষ মহিলাদের টাকা তুলে নিয়ে গেল! এর কি সিবিআই তদন্ত হবে না? মহিলা কমিশন বা ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যরা?’’

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ