Advertisement
Advertisement
Lalbazar

উত্তর থেকে দক্ষিণ, একাধিক মণ্ডপে মাতৃপ্রতিমায় সোনার গয়না, নিরাপত্তায় কড়া নজর লালবাজারের 

১১টি মণ্ডপে দু'জন করে রাইফেলধারী পুলিশকর্মীকে রাখা হয়।

Lalbazar keeps tied security on safety of idol's gold jewelry
Published by: Subhankar Patra
  • Posted:September 29, 2025 1:41 pm
  • Updated:September 29, 2025 5:11 pm   

অর্ণব আইচ: শহরে বিগ বাজেটের পুজো অনেকগুলি। দেবীকে সাজাতে কোনও ত্রুটি রাখে না কর্তৃপক্ষ। উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতার ১৩টি পুজো মণ্ডপে দেবীকে সোনার গয়নায় সাজিয়ে তোলা হয়। লাখ, লাখ ভক্তের ভিড়ে গমগম করে মণ্ডপ। সোনাগুলিতে নজর থাকতে পারে স্তকরদেরও। এত গয়না পাহারা দেবে কে? উত্তর কলকাতা পুলিশ। ওই ১৩টি মণ্ডপের মধ্যে ১১টি মণ্ডপে দু’জন করে রাইফেলধারী পুলিশকর্মী মোতায়েন করে লালবাজার। বাকি দু’টিতে আরও কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।

Advertisement

মায়ের বোধনের আগেই সোনার গয়নায় সেজে ওঠেন মা। মণ্ডপগুলিতে গেলেই দূর থেকেই প্রতিমার দিকে তাকালে সোনার গয়না চোখে পড়ে দর্শনার্থীদের। ওই গয়না হিসাব করে পরানো হয় দুর্গাপ্রতিমাকে। বিসর্জনের আগে ফের খুলে ওই গয়না নিজেদের হেফাজতে রেখে দেন পুজো কমিটি। পুজো কমিটিগুলি নিজেরা গয়না রক্ষা করার ব‌্যবস্থা করেন। তেমনভাবেই তারা সাহায‌্য নেয় পুলিশেরও।

লালবাজার সূত্রের খবর, ১৩টি মণ্ডপের মধ্যে ১১টি মণ্ডপে দু’জন করে রাইফেলধারী পুলিশকর্মীকে রাখা হয়। তাঁদের মূল কাজ দুর্গা প্রতিমার সোনা ও রুপোর গয়না পাহারা দেওয়া। এ ছাড়াও বাকি দু’টির মধ্যে মধ‌্য কলকাতার মুচিপাড়া এলাকার একটি পুজো মণ্ডপে গয়না পাহারা দেন সার্ভিস পিস্তল নিয়ে দু’জন পুলিশ অফিসার ও রাইফেলধারী দু’জন পুলিশকর্মী।

বেনিয়াপুকুর এলাকার একটি পুজো মণ্ডপে দু’জন রাইফেলধারী পুলিশকর্মী থাকেন প্রতিমার গয়না পাহারার দায়িত্বে। অনেক জায়গাতেই অল্প সময়ের জন্য প্রতিমাকে গয়না পরানো হয়। কিন্তু যতক্ষণ মায়ের গায়ে গয়না থাকে, ততক্ষণই থাকবে পুলিশের পাহারা। অস্ত্র নিয়ে পাহারা দেওয়া ছাড়াও যাতে বহিরাগত অথবা কোনও দর্শনার্থী প্রতিমার খুব কাছে না যান, সেদিকেও নজর থাকে ওই পুলিশকর্মী ও আধিকারিকদের। একই সঙ্গে লালবাজারের অনুরোধে ওই ১৩টি মণ্ডপেই লাগানো হয়েছে পর্যাপ্ত সংখ‌্যক সিসিটিভি ক‌্যামেরা।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ