Advertisement
Advertisement
Mamata Banerjee

মানুষের খাদ্যাভ্যাসে হস্তক্ষেপ নয়, সিঙাড়া-জিলিপি নিয়ে ‘সতর্কীকরণ’ নয় রাজ্যে, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তি নিয়ে প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর।

Mamata Banerjee clarifies, No warning on Samosa and Jalebi
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:July 15, 2025 6:41 pm
  • Updated:July 15, 2025 6:53 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিঙাড়া-জিলিপি নিয়ে কেন্দ্রীয় ফতোয়া মানবে না রাজ্য সরকার! মানুষের খাদ্যাভ্যাসে হস্তক্ষেপ নয়। সাফ জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার এমন কোনও নির্দেশিকা দেয়নি। রাজ্যে এমন কোনও বিজ্ঞপ্তি কার্যকরও হবে না।

Advertisement

 

বাঙালি মানেই ভোজনরসিক। দু-এক ফোঁটা বৃষ্টি হলেই মন চায় একটু চপ-সিঙাড়া। আর সঙ্গে জিলিপি মিললে আর কী চাই! কিন্তু সেই সিঙাড়া-জিলিপি নিয়েও কেন্দ্র ‘সতর্কীকরণ’ দিয়েছে বলে খবর। যা মানতে রাজি নয় বাংলা। মুখ্যমন্ত্রী এদিন এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়ে দিলেন, “কিছু সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে যে, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশে এখন থেকে নাকি সিঙ্গাড়া/জিলিপি খাওয়া যাবে না। এটা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিজ্ঞপ্তি নয়। আমরা সব বিষয়ে হস্তক্ষেপ করি না। আমরা এই বিজ্ঞপ্তি কার্যকরও করব না।” কেন্দ্রকে নিশানা করে মমতার কটাক্ষ, “আমার মনে হয়, সিঙ্গাড়া এবং জিলিপি অন্যান্য রাজ্যেও জনপ্রিয়। সেইসব রাজ্যের মানুষরাও এই খাবারগুলি ভালোবাসেন। মানুষের খাদ্যাভ্যাসে হস্তক্ষেপ করা সঠিক কাজ নয়।”

আসলে মঙ্গলবার একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর, সম্প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রক সমস্ত কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন একটি ফরমান জারি করেছে। সেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী জিলিপি-শিঙাড়ার মতো খাবার খাওয়ার বিষয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির ছাত্রছাত্রী-শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অভিভাবকদের সতর্ক করতে বলা হয়েছে। স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এই ধরনের অস্বাস্থ্যকর খাবারে ঠিক কত পরিমাণ ক্যালোরি আছে, কতটা চিনি ব্যবহার করা হয়েছে কিংবা কী পরিমাণ ট্রান্স-ফ্যাট রয়েছে-তা জানাতে হবে। ক্যান্টিনগুলোতে এই নিয়ে সতর্কতামূলক পোস্টার টাঙাতে হবে। তবে এই ধরনের খাবার বিক্রির উপর কোনওরকম নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি।

যদিও পরে কেন্দ্রের তরফে ফ্যাক্ট চেক করে জানানো হয়, জিলিপি-শিঙাড়ার মতো খাবার নিষিদ্ধ করার কোনও বিজ্ঞপ্তি কেন্দ্র জারি করেনি।এই ধরনের খাবার বিক্রির ক্ষেত্রে সতর্কীকরণ ‘লেবেল’ লাগানোর কথাও বলেনি স্বাস্থ্যমন্ত্রক। কেন্দ্রের তরফে শুধু কিছু কিছু সতর্কীকরণ পোস্টার এবং ব্যানারে লাগানোর কথা বলা হয়েছে, যাতে লুকনো শর্করা বা ফ্যাট সম্পর্কে সাধারণ নাগরিককে সতর্ক করা যায়। ভারতের ঐতিহ্যমণ্ডিত খাদ্য সংস্কৃতিতে হস্তক্ষেপের কোনও ইচ্ছা কেন্দ্রের নেই।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement