Advertisement
Advertisement
Mamata Banerjee

‘দেশ স্বাধীনে বাংলার অবদান সবচেয়ে বেশি’, প্রাক স্বাধীনতা দিবসে ফের মনে করালেন মমতা

বেহালার অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর গলায় ফের SIR, বাঙালি অস্মিতার কথা।

Mamata Banerjee remembers freedom fighters of West Bengal just ahead of Independence Day 2025

ফাইল ছবি

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:August 14, 2025 7:05 pm
  • Updated:August 14, 2025 7:34 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালেও বাঙালি অস্মিতায় শান দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বেহালায় প্রাক স্বাধীনতার অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর সাফ বক্তব্য, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে যদি কোনও রাজ্য সবচেয়ে বেশি অংশ নেয়, তা হল বাংলা। এখানেই স্বাধীনতা সংগ্রামীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। বাংলার সেই অবদান ইদানিং অনেকে ভুলে যাচ্ছেন বলে অভিযোগের সুর শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। মনে করিয়ে দিলেন স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে জুড়ে থাকা বিভিন্ন অনুপ্রেরণামূলক গানের কথা। সেসব গান যে বাঙালিরই তৈরি, তাও উল্লেখ করলেন। স্মরণ করলেন স্বামী বিবেকানন্দ, নেতাজির অবদান।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বেহালায় প্রাক স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় সাংসদ মালা রায়, মেয়র ফিরহাদ হাকিম। প্রথমে বেহালা মেট্রো সম্প্রসারণের নেপথ্যে নিজের অবদানের কথা বলে জানালেন, আজ মেট্রো চলাচল শুরু হওয়ায় তিনি অত্যন্ত খুশি। এরপরই মমতার কথায় উঠে এল বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কথা। বললেন, ”মধ্যরাতের স্বাধীনতা আমরা পালন করি দীর্ঘদিন ধরে। শুধু স্বাধীনতার সময় নয়, স্বাধীনতার পরও যাঁরা দেশরক্ষা করছে, সবাইকে স্যালুট।” একটি গানের কথা উল্লেখ করলেন তিনি। তাঁর কথায়, ”অনেকেই জানেন না, সেসময় যে গান আমাদের অনুপ্রাণিত করেছিল, তার মধ্যে একটি গান – মুক্তির মন্দির সোপান তলে…। এই গানের গীতিকার মোহিনী চৌধুরী, তাঁর বাড়ি বেহালায়। বেঁচে থাকতে আমি তাঁর বাড়ি গিয়ে প্রণাম করে এসেছিলাম। কেউ জানে না যে তিনি গানের রচয়িতা। এরকম হতেই পারে। হয়ত একটা গান যিনি লিখছেন, তাঁকে সেভাবে কেউ চিনতে পারে না। হয়ত গানটাই বেশি জনপ্রিয় হয়।” এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ”ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে যদি কোনও রাজ্য সবচেয়ে বেশি অংশ নিয়ে থাকে, তা হল বাংলা। বাংলার মাটি সোনার চেয়েও খাঁটি।”

মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে এল এসআইআর ও বাঙালি অস্মিতার প্রসঙ্গ। অভিযোগ তুললেন, ”এসআইআর অর্থাৎ ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনের নামে NRC, CAA চালুর চেষ্টা চলছে। ১৯৮২ সালের আগে কোন মা-বাবার বার্থ সার্টিফিকেট আছে? ২০০২ সালে জন্মানো কোন নাগরিকের নাম থাকবে ভোটার তালিকায়? বাংলাকে ক্রমাগত অপমান করে চলেছে দিল্লির সরকার। কেন এত অপমান? মনে রাখবেন, বাংলা এই অপমান মেনে নেবে না। গর্জে উঠবেই। বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকরা বাংলায় কথা বললে অন্য রাজ্যে হেনস্তা করা হচ্ছে। জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কেন? বাংলায় কথা বলা অপরাধ?” তাঁর আরও হুঁশিয়ারি, এসআইআরের নামে মানুষকে সন্ত্রস্ত করে তোলা হচ্ছে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ