সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাতসকালেই আগুন লেগে ভস্মীভূত রাজারহাটে খেলনার গোডাউন। এর জেরে ক্ষতির পরিমাণের অঙ্ক ১০ লক্ষেরও বেশি। যদিও এই ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর নেই। ভোর ছটা নাগাদ গোটাউনের এক কর্মীই প্রথম আগুন দেখতে পান। সেই সময় জনা ছয়েক কর্মী গোডাউনের ভিতরে ছিলেন তড়িঘড়ি তাঁরা নিচে নেমে আসেন। খবর যায় দমকলে। দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন চারঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়্ন্ত্রণে এনেছে। প্রাথমিক তদন্তে দমকলের দাবি, ভস্মীভূত গোডাউনটিতে কোনও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছিল না। গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখে গোডাউন মালিকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনাটি ঘটেছে রাজারহাটের লাঙলপোতা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, ভোর ছটা নাগাদ গোডাউনের কর্মী মঙ্গল মিদ্দা বাথরুমে যান। সেই সময় গোডাউনের দোতলাতে তিনি আগুন জ্বলতে দেখেন। ভয়ে তৎক্ষণাৎ চেঁচামেচিও শুরু করে দেন। সেই সময় মঙ্গলবাবুর বেশ কয়েকজন সহকর্মী দোতলাতেই ঘুমিয়েছিলেন। তড়িঘড়ি তাঁদের ডেকে তোলা হয়। ততক্ষণে আগুন গোটা বাড়িটিতে ছড়িয়ে পড়েছে। গোডাউনে মজুত থাকা খেলনা ও উপহার সামগ্রীর বেশিরভাগই দাহ্যপদার্থ নির্মিত হওয়ায় আগুনের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন। চারঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে সম্পূর্ণ গোডাউনটি ভস্মীভূত হওয়ায়। কোনও জিনিসপত্রই বাঁচানো যায়। পুড়ে ছাই হয়েছে গোডাউনে মজুত উপহার ও খেলনা সামগ্রী। যার আনুমানিক বাজার মূল্য পাঁচ লক্ষ টাকা। আগুনে গোটা বাড়িটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ দশ লক্ষ ছাড়িয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত গোডাউনটিতে বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা তাঁদের বিক্রয়জাত সামগ্রী মজুত করে রাখতেন। আগুন লাগার খবরে তাঁদেরই একজন ঘটনাস্থলে আসেন। ওই ব্যবসায়ীর নাম বিনয় আগরওয়াল। তবে গোডাউন মালিকের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। এদিকে গোডাউনটিতে এত টাকার সামগ্রী মজুত থাকলেও সেখানে কোনও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছিল না বলে অভিযোগ। অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র, ফায়ার অ্যালার্ম কোনওকিছুরই হদিশ মেলেনি। ঘটনাস্থল ঘুরে দেখছেন দমকল কর্মীরা। প্রয়োজনীয় অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা না থাকার কারণে গোডাউন মালিকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে খবর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.