প্রতীকী ছবি
অর্ণব আইচ: টেরর ফান্ডিংয়ে যোগ মিলল কলকাতার। পহেলগাঁওয়ের হামলার আগে পাক চর সন্দেহে ধৃত মতিরাম জাঠের অ্যাকাউন্টে মোমিনপুরের দোকান থেকে জমা হয় ২২ হাজার টাকা। এনআইএ-র তদন্তে উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। এদিকে তপসিয়ার হোটেল কর্মী মহম্মদ ওয়াকিলকে রবিবার এনআইএ দপ্তরে দফায় দফায় জেরা করা হয়। এন্টালির বাসিন্দা ওয়াকিল প্রাক্তন সেনাকর্মী বলে জানা গিয়েছে। ই-ওয়ালেটের মাধ্যমে ওয়াকিলও মতিরামকে টাকা পাঠাত। পাকিস্তানি হ্যান্ডলারদের মাধ্যমে ওই টাকা যেত বলে এনআইএ-এর ধারনা।
শনিবার মোমিনপুরের ওই দোকানে এনআইএ তল্লাশি চালায়। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানতে পারেন যে, দোকানের মালিক মোতিরামকে ২২ হাজার টাকা ছাড়াও তিন দফায় পাঠিয়েছে ১৩ হাজার ৫০০ টাকা, ১৫ হাজার টাকা ও পাঁচ হাজার টাকা। কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে হামলার আগে গত ২৫ মার্চ ২২ হাজার টাকা মতিরামের কাছে পৌঁছে ছিল এই দোকান থেকে। হাওয়ালার মাধ্যমে এই টাকা গিয়েছিল কিনা তা জানার চেষ্টা করছে এনআইএ। সোমবার দোকানের মালিককে তলব করেছে।
গোয়েন্দাদের মতে কলকাতা অথবা আশপাশের কোনও রাজ্যের কোনও বাসিন্দা যে পাক চর আইএসআই-এর সঙ্গে যুক্ত, সে মোমিনপুরের দোকানদারকে টাকা জমা দেয়। ফলে ওই দোকানদার কোনওভাবে চরবৃত্তির কাজের সঙ্গে পরোক্ষভাবে যুক্ত, এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। ছোট অঙ্কের টাকা ব্যাঙ্ক অথবা হাওয়ালার মাধ্যমে মতিরামের কাছে যেত। কে বা কারা মোমিনপুরের ওই দোকানে টাকা জমা দিত তা জানতে দোকানের সিসিটিভির ফুটেজ পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে এনআইএ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.