Advertisement
Advertisement
Nabanna Abhijan

নবান্ন অভিযানে দফায় দফায় উত্তেজনা, মুখ্যসচিবের সঙ্গে কথা বলবেন ২০ ‘যোগ্য’ চাকরিহারা

চাকরিহারাদের কাছে নিয়ম না ভাঙার আর্জি পুলিশের।

Nabanna Abhijan: Jobless teachers and police clashes in Howrah

ছবি: অরিজিৎ সাহা

Published by: Sayani Sen
  • Posted:July 14, 2025 2:49 pm
  • Updated:July 14, 2025 4:37 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘যোগ্য’ চাকরিহারাদের নবান্ন অভিযান (Nabanna Abhijan) ঘিরে দফায় দফায় উত্তেজনা। মল্লিক ফটকে আটকাল মিছিল। বারবার মাইকে নিয়ম না ভাঙার ঘোষণা করছেন পুলিশকর্মীরা। তা সত্ত্বেও ব্যারিকেড ভেঙে এগনোর চেষ্টা করছেন মিছিলকারীরা। তার ফলে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান চাকরিহারারা। ধস্তাধস্তিতেও জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। অবশেষে মিলল ছাড়পত্র। মুখ্যসচিবের সঙ্গে কথা বলবেন ১৮ জন ‘যোগ্য’ শিক্ষক এবং ২ জন ‘যোগ্য’ অশিক্ষক কর্মী-সহ ২০ জন। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, শিবপুরে হাওড়া পুলিশ লাইনে হতে পারে বৈঠক।  

Advertisement

তাঁদের দাবি, সুপ্রিম কোর্টে দেওয়া হোক যোগ্যদের তালিকা, বাকিদের পরীক্ষা নেওয়া হোক। আর সেই দাবির কথা জানাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে চান তাঁরা। সে কারণেই নবান্ন অভিযানের ডাক দেন ‘যোগ্য’ চাকরিহারারা। সে কারণে নবান্ন অভিযানের ডাক। এভাবে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ সম্ভব নয়, তা আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়। তবে মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ পেতে মরিয়া ‘যোগ্য’ চাকরিহারা।

নবান্ন অভিযান (Nabanna Abhijan) ঘিরে অশান্তির আশঙ্কা ছিল আগে। সে কারণে নিরাপত্তা আঁটসাঁট করা হয়। জিটি রোডের বঙ্গবাসী মোড়, ফরশোর রোডের রামকৃষ্ণপুর ঘাট গেট, কাজিপাড়া মোড় ও সাঁতরাগাছি মোড়ে ব্যারিকেড বসানো হয়। এছাড়া নবান্ন সংলগ্ন শিবপুর, মন্দিরতলা, বেলেপোল এলাকাতেও ছোট গার্ডরেল বসানো হয়। মূল চার পয়েন্টে ২৫টি করে হাই রেজোলিউশনের ক্যামেরা বসানো হয়। প্রতিটি পয়েন্টে মোতায়েন রয়েছে র‍্যাফ। দু’টি জলকামান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে দিনভর কন্ট্রোলরুমে বসে নজরদারি করছেন পুলিশকর্মীরা। বিভিন্ন কমিশনারেট থেকে বাড়তি দু’হাজার পুলিশও নিয়ে আসা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি যায়। নতুন করে পরীক্ষা নিতে হবে বলেও সর্বোচ্চ আদালত জানিয়ে দেয়। সেজন্য সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশ মেনে কমিশনের তরফে মে মাসের শেষে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। সুপ্রিম নির্দেশ মেনে সেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়নি, এই অভিযোগে কলকাতা হাই কোর্টে আবার মামলা দায়ের হয়। কোনওভাবেই ‘অযোগ্য’ চাকরিহারাদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া যাবে না বলেই জানিয়ে দেয় হাই কোর্ট। সিঙ্গল বেঞ্চের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় এসএসসি ও রাজ্য। তবে সেই একই রায় বহাল রয়েছে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ