Advertisement
Advertisement
Jadavpur University

যাদবপুরের ছাত্রীমৃত্যুতে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা জাতীয় মহিলা কমিশনের, নগরপালকে চিঠি

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় তৎপর জাতীয় মহিলা কমিশন।

NCW taken suo motu cognizance in Jadavpur University student death case
Published by: Sayani Sen
  • Posted:September 14, 2025 1:49 pm
  • Updated:September 14, 2025 1:49 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় তৎপর জাতীয় মহিলা কমিশন। স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করা হয়েছে। চেয়ারপার্সন বিজয়া রোহতকর সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে এই মর্মে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। জাতীয় মহিলা কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ৩ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। ছাত্রীমৃত্যুর ফরেন্সিক পরীক্ষা ও ময়নাতদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। মৃতার পরিবারের কাছে নিয়মিত আপডেট পৌঁছে দিতে হবে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটের কাছের ঝিলপাড় থেকে অচৈতন্য অবস্থায় অনামিকা মণ্ডল নামে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। রাতেই দেহ পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য। উঠে আসে বহু প্রশ্ন। কীভাবে মৃত্যু, সেটাই এখনও পুরোপুরি রহস্য।পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ঠিক কী জানিয়েছিলেন মৃত অনামিকা মণ্ডলের বন্ধুরা? তদন্তকারীদের দাবি অনুযায়ী তাঁরা জানান, বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছিল। রাতের দিকে ঝিলপাড়ে বসেছিলেন ৫ বন্ধু। তাঁদের সঙ্গেই ছিলেন অনামিকা। সকলে মিলে মদ্যপান করেন। এরপরই জলে নামার ইচ্ছে প্রকাশ করেন সকলেই। পুলিশি জেরায় বন্ধুদের দাবি, অনামিকা নাকি বলেন, ‘গরম লাগছে, আমি জলে নামব।’

বন্ধুরা জানত তিনি সাঁতার জানেন না। তাই স্বাভাবিকভাবেই বারণ করেন। কিন্তু ঝিলে জল বিশেষ না থাকায় এতবড় বিপদের আশঙ্কা করেনি কেউ। আচমকাই নাকি ঝিলে নামেন অনামিকা। মদ্যপ অবস্থায় বন্ধুরা বোঝেন তিনি তলিয়ে যাচ্ছেন। জিজ্ঞাসাবাদে মৃতার বন্ধুরা দাবি করেন, তাঁরা অনামিকাকে বাঁচাতে জলে নামেন। তুলে আনেন বন্ধুকে। কিন্তু ততক্ষণে অচৈতন্য হয়ে পড়েছেন অনামিকা। চিৎকার করে তাঁরা লোক ডাকে। খবর দেওয়া হয় নিরাপত্তারক্ষীদের। সঙ্গে সঙ্গে অনামিকাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে।

ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট সামনে আসার পরও খোলসা হল না তা। তবে জানা গিয়েছে, জলে ডুবেই মৃত্যু হয়েছে অনামিকার। দেহে মেলেনি কোনও আঘাতের চিহ্নি। কিন্তু যে ঝিলে পড়েছিলেন তরুণী, সেটির গভীরতা ৪ থেকে ৫ ফুট। ফলে সেখানে পড়ে মৃত্যু নিয়েও প্রশ্ন থাকছেই। যদিও চিকিৎসকদের থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, গভীরতার উপর মৃত্যু নির্ভর করে না অনেকক্ষেত্রেই। একটা নির্দিষ্ট সময় নাক-মুখ জলের নিচে থাকলে মৃত্যু ঘটতেই পারে। মদ্যপ ছিলেন কি না তা ভিসেরা রিপোর্ট এলেই স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ