Advertisement
Advertisement
Kolkata

খাস কলকাতায় চাকরির টোপ দিয়ে দেহব্যবসা! পাচারের আগে উদ্ধার ৯ নাবালিকা

এই ঘটনায় এক দম্পতি-সহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

Nine minor girl rescue from Kolkata

প্রতীকী ছবি

Published by: Sayani Sen
  • Posted:September 11, 2025 11:42 am
  • Updated:September 11, 2025 11:58 am   

অর্ণব আইচ: চাকরির টোপ দিয়ে দেহব্যবসায় যোগে চাপ দেওয়ার অভিযোগ। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে নাবালিকা পাচার রুখল গোয়েন্দা পুলিশ। বড়তলা থানা এলাকায় হানা দিয়ে একটি বাড়ি থেকে ৯ জন নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় এক দম্পতি-সহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ঘটনা সংক্রান্ত আরও তথ্যের খোঁজে তদন্তকারীরা।

Advertisement

ধৃতরা হল অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার স্ত্রী সরস্বতী বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া ধৃতদের তালিকায় রয়েছে সুমন হালদার, পূজা মিস্ত্রি, দীপ চট্টোপাধ্যায় এবং আকাশ চৌধুরী। তদন্তকারীদের দাবি, অমিত এবং সরস্বতী সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। তারা বড়তলা থানা এলাকার বাসিন্দা। নাবালিকাদের পাচারের আগে তাদের বাড়িতেই রাখা হয়েছিল। সুমন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঢোলাহাটের বাসিন্দা। পূজা দমদম ক্যান্টনমেন্টে থাকে। ধৃত আকাশ ও দীপের বাড়ি শ্যামনগরে। পুলিশ সূত্রে খবর, চাকরির টোপ দিয়ে নাবালিকা, তরুণীদের সঙ্গে যোগাযোগ করত ওই ধৃতেরা। এরপর তাদের দেহব্যবসায় কাজে লাগানো হত। ওই নাবালিকাদের পাচারের ছক ছিল বলেও অনুমান তদন্তকারীদের। তবে তার আগেই উদ্ধার হয়েছে নাবালিকারা।

বলা বাহুল্য, নারী পাচারের ঘটনা এরাজ্যে নতুন কিছু নয়। প্রান্তিক জেলা থেকে দরিদ্র পরিবারের কিশোরীদের কাজের টোপ দিয়ে পাচারের ঘটনা হামেশাই ঘটে। কখনও দিল্লি মুম্বই বা অন্য কোনও মেট্রোসিটির পতিতাপল্লিতে ঠাঁই মেলে সেই সব কিশোরীদের। কেউ বা দালাল মারফৎ পাচার হয়ে যায় বিদেশেও। অনেকে বিনা পারিশ্রমিকেই পরিচারিকার কাজ করে। সেই বাড়িতে শারীরিক মানসিক অত্যাচারেরও শিকার হয়। শিশুপাচার করে শ্রমিকের কাজ করানো একটা ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। তবে এবার গোয়েন্দা পুলিশের তৎপরতায় রেহাই পেল ৯ নাবালিকা। এই ঘটনায় ধৃতদের দফায় দফায় জেরা করছে পুলিশ। আর কারা এই পাচারচক্রের সঙ্গে যুক্ত, নাবালিকাদের কোথায় পাচারের পরিকল্পনা চলছিল – সে সংক্রান্ত তথ্যের খোঁজ করছেন তদন্তকারীরা।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ