ফাইল ছবি
গোবিন্দ রায়: মাধ্যমিকের নম্বরে কারচুপি! ২ নম্বরের জন্য মেধাতালিকায় স্থান পায়নি পড়ুয়া। সঠিক উত্তরের একটি নির্দিষ্ট নম্বর দেওয়ার পরও ওভার রাইট করে নম্বর কমানোর অভিযোগ। সিবিআই তদন্ত চেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ পড়ুয়া।
দিশানী হাজরা। হুগলির আরামবাগের আলিপুর সন্তোষ সাধারণ বিদ্যাপীঠের ছাত্রী। ২০২৩ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হলে দেখা যায় পড়ুয়ার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮১। সেই বছর দশম স্থানাধিকারীর নম্বর ছিল ৬৮৩। মাত্র ২ নম্বরের জন্য মেধা তালিকায় স্থান পায়নি। নিজের উত্তরপত্রের কপি দেখতে চায় সে। সেটি হাতে পাওয়ার পর ছাত্রী দেখে নম্বর দেওয়াতে কারচুপি করা হয়েছে।
দিশানীর দাবি, পরীক্ষক যেখানে সঠিক উত্তরের জন্য নম্বর দিয়েছিলেন, সেখানে পরবর্তী পর্যায়ে ওভাররাইট করে নম্বর কমানো হয়েছে। এ নিয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে ছাত্রী।
বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়। দিশানীর আইনজীবী আশিসকুমার চৌধুরীর বক্তব্য, “সঠিক উত্তর দিয়ে প্রাপ্য নম্বর থেকেও বঞ্চিত হয়েছে দিশানী। এর ফলে মেধাতালিকায় নাম ওঠার সুযোগ হারিয়েছে সে। একজন মেধাবী ছাত্রীর কাছে এর চেয়ে দুর্ভাগ্যজনক আর কী হতে পারে।” অন্যদিকে, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবীর দাবি, কীভাবে এমনটা ঘটেছে বোর্ডের পক্ষে জানা সম্ভব নয়।
সওয়াল-জবাব শোনার পর আদালতের আদালতের নির্দেশ অভিযোগের ভিত্তিতে উত্তরপত্রের সত্যতা যাচাই করা জরুরি। আগামী ২৫ আগস্টের মধ্যে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে দিশানীর আসল উত্তরপত্র আদালতে জমা দিতে হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.