মলয় কুণ্ডু: বিনিয়োগে বসতে বাংলা! রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে বড়সড় সুখবর। নিউটাউনে আইটি ক্যাম্পাস তৈরির জন্য ‘অকুপ্যান্সি সার্টিফিকেট’ অর্থাৎ আইনি অধিগ্রহণের ছাড়পত্র দিল এনকেডিএ। এখানে ১৭ একর জমির উপর তৈরি হবে আইটি অফিস ও ক্যাম্পাস। তাতে সরাসরি ৫০০০ কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। মঙ্গলবার এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে এই সুখবর শুনিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ক্যাম্পাস তৈরি হয়ে গেলে তার হাত ধরে বাংলার তথ্যপ্রযুক্তির দ্রুত উন্নতির আশা করছেন সকলে।
Glad to share that the Occupancy Certificate is being issued by our New Town Kolkata Development Authority (NKDA) for ITC Limited’s world-class IT & ITES campus in Action Area-III of New Town, spread over 17 acres of land allotted by our WBHIDCO.
The campus comprises three key…
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial)
প্রতি বছর বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন থেকে প্রচুর বিনিয়োগের প্রস্তাব আসে বাংলায়। কারণ, লাল ফিতের ফাঁস কাটিয়ে, পরিকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলা এখন শিল্প বিস্তারের আদর্শ ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চে বারবার সেই বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বাংলায় কাজ করার জন্য শিল্পপতিদের আহ্বান জানান। এমনকী রাজ্যের বণিকসভা থেকে শুরু করে ছোট, বড় শিল্পপতিরাও বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশের কথা বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর কথায় ভরসা রেখে, তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে ২০২৫ সালের বিশ্ববঙ্গে বাণিজ্য সম্মেলনের পর বড় শিল্প সংস্থা আইটিসি এখানে বিনিয়োগের কথা জানিয়েছিল। রাজ্যের তরফে নিউটাউনে জমিও দেওয়া হয়। নিউটাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি বা NKDA এবার সেই জমি আইনি অধিগ্রহণের ছাড়পত্র দিল।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডল পোস্টে লিখেছেন, ‘‘আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আমাদের নিউটাউন কলকাতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনকেডিএ) কর্তৃক নিউটাউনের অ্যাকশন এরিয়া-থ্রি এলাকায় আইটিসি লিমিটেডের বিশ্বমানের আইটি অ্যান্ড আইটিইএস (ইনফরমেশন টেকনোলজি এনবেলড সার্ভিসেস) ক্যাম্পাসের জন্য ‘অকুপ্যান্সি সার্টিফিকেট’ (আইনি অধিগ্রহণের ছাড়পত্র) দেওয়া হচ্ছে। এই সেন্টারটি তৈরি হয়েছে হিডকোর বরাদ্দ করা ১৭ একর জমিতে।’’
মুখ্যমন্ত্রী পোস্ট থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখানকার সাড়ে ১৪ লক্ষ বর্গফুট এলাকার উপর তৈরি ক্যাম্পাসে তিনটি ভবন রয়েছে। একটি অফিস টাওয়ার, একটি ব্যবসায়ীদের সহায়তা কেন্দ্র এবং আরেকটি নলেজ ক্যাম্পাস। সব মিলিয়ে ১৪.৫ লক্ষ বর্গফুটেরও বেশি জায়গা জুড়ে এই ভবনটি তৈরি হয়েছে। প্রায় ১২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে। সরাসরি কর্মসংস্থান হবে ৫০০০ তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.