আনোয়ার শাহ মোড়, সকাল ১০ টা ৪০।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৫ ঘণ্টার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত তিলোত্তমা। কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকার প্রায় সব জায়গাই জলমগ্ন। দেখা নেই বাস-অটোর। ট্রেন-মেট্রো পরিষেবাও ব্যাহত। কিন্তু অফিস তো যেতেই হবে। অগত্যা ‘ছোটা হাতি’ অর্থাৎ টাটা-এস গাড়িতে চেপে কর্মস্থলে পৌঁছচ্ছেন বহু মানুষ। তাতেও মাথা পিছু দিতে হচ্ছে ১০০ টাকা!
প্রতিপদের রাতের অতি গভীর নিম্নচাপের বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত শহর ও শহরতলি। কোথাও এক হাঁটু, কোথাও এক কোমর জল। কোথাও ভেঙে পড়েছে গাছ। কোথায় জলের মধ্যে ছিঁড়ে পড়ে রয়েছে বিদ্যুতের তার। জেলাগুলির ছবিও কার্যত একই। প্রবল ভোগান্তিতে আমজনতা। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় পুরোপুরি বন্ধ ট্রেন চলাচল। ফলে রাস্তায় বেরিয়েও ফিরে যেতে হয়েছে বহু নিত্যযাতীকে। দমদম থেকে ট্রেন চললেও তা অত্যন্ত ধীর গতিতে। বাতিল বহু ট্রেন। ময়দান থেকে ক্ষুদিরাম পর্যন্ত বন্ধ মেট্রো পরিষেবা। ফলে নাজেহাল দশা কলকাতা সংলগ্ন জেলার মানুষদের। কলকাতা ও তার আশপাশের বাসিন্দাদের পরিস্থিতও একই। জলের কারণে রাস্তায় নেই অটো। বাস চললেও সংখ্যা হাতে গোনা দু-একটি।
ফলে কলকাতার গুরুত্ব মোড়গুলিতে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও বাস, অটো পাচ্ছেন না কেউ। দু-একটি বাস যা চলছে তাতে বাদুরঝোলা অবস্থা। অ্যাপ ক্যাব বা বাইকেরও দেখা নেই। কেউ যেতে রাজি হলেও দাম চাইছেন আকাশছোঁয়া। কিন্তু অফিসে তো যেতেই হবে। বাধ্য হয়ে অফিসের ব্যাগ কাঁধে ‘ছোটা হাতি’ অর্থাৎ টাটা-এস গাড়িতে উঠছেন বহু মানুষ। মঙ্গলবার সকাল ১০টা বেজে ৪০ মিনিট নাগাদ আনোয়ার শাহ মোড়ে দেখা গেল এরকমই ছবি। টাটা-এস গাড়িতেও ঠাসা ভিড়। তাতে দাঁড়িয়েই অফিসে রওনা দিলেন অনেকে। এদিকে পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বাড়তি ভাড়া নিচ্ছেন ‘ছোটা হাতি’র চালকরা। মাথা পিছু দিতে হচ্ছে ১০০ টাকা! উপায় না পেয়ে তা-ই দিয়েই কাজে পৌঁছলেন চাকরিজীবীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.