অর্ণব আইচ: ফেসবুকে বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন দেখে উৎসাহী হয়ে উঠেছিলেন বারাসতের এক ব্যক্তি। নিজের বিনিয়োগ সংস্থা গড়ে তোলার জন্য দফায় দফায় অনলাইনে একটি সংস্থাকে অর্থও দিয়েছিলেন। প্রায় দশবার আর্থিক লেনদেনের অঙ্কটা দাঁড়ায় ৩৬ লক্ষ! কিন্তু তারপরেই বুঝতে পারেন, তিনি সম্পূর্ণভাবে প্রতারিত হয়েছেন। এরপরই বারাসত সাইবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই ব্যক্তি। তদন্তে নেমে সিআইডির সাহায্য নিয়ে অন্য এক প্রতারণা মামলায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে এই প্রতারণার সঙ্গেও সে যুক্ত বলে প্রাথমিক অনুমান তদন্তকারীদের।
বারাসতের বাসিন্দা ড. রাজকুমার ভট্টাচার্য। ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেখে নিজের বিনিয়োগ সংস্থার খোলার ইচ্ছে হয়েছিল। সেইমতো বিজ্ঞাপনদাতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁকে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া হয়। তারপর দু’মাস ধরে বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়। একটি সংস্থাকে ১৮ লক্ষ টাকা দিতে বলা হয় রাজকুমারবাবুকে। সেইমতো তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে লেনদেনও হয়। এরপর আরও কয়েকদফায় বেশ কয়েকলক্ষ টাকা দেওয়া হয় তাঁকে। সবমিলিয়ে রাজকুমারবাবু ৩৬ লক্ষ টাকা এভাবেই খোয়ান।
এরপরও বিনিয়োগ পরিকল্পনায় কোনও অগ্রগতি না দেখে সন্দেহ হয় তাঁর। খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন, প্রতারকদের পাল্লায় পড়েছেন তিনি। এরপরই বারাসত সাইবার থানার দ্বারস্থ হন। পুলিশ সিআইডির সাহায্য নিয়ে তদন্ত শুরু করে। আনন্দপুরের বাসিন্দা প্রসেনজিৎরঞ্জন নাথ নামে একজন লক্ষ লক্ষ টাকা লেনদেনের সুবিধা পেয়েছেন বলে জানতে পারেন তদন্তকারীরা। এরপরই হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। এর নেপথ্যে আরও বড় কোনও চক্র আছে বলে অনুমান তদন্তকারীদের। খোঁজ চলছে সেই চক্রের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.